ঢাকা: মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহারে শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন ধরণের সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ফোন থেকে নির্গত ক্ষতিকর রেডিয়েশনের প্রভাবে দিনকে দিন কমে যাচ্ছে শ্রবণশক্তি, নষ্ট হচ্ছে কণ্ঠস্বর। দেখা মিলছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ নানা সমস্যা।
মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে বিশেষ করে শিশু ও গর্ভবতীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা।
প্রতিনিয়ত যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার মোবাইল ফোন। যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এ যন্ত্রটি শুধু কথা বলা নয়, ব্যবহার হচ্ছে সামাজিক সাইট কিংবা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেও।
কথা বলার সময় মোবাইল ফোন থেকে যে তেজস্ক্রিয়তা বা রেডিয়েশন নির্গত হয় তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। তবু থেমে নেই মোবাইল ফোনে কথা বলা।
জীবনযাত্রায় আমরা প্রতিদিনই মোবাইলে কথা বলি প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনেও। আর তরুণ প্রজন্মই মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারী বেশি। মোবাইলে অতিরিক্ত কথা বলার নানা সমস্যার কথা জানান তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, মোবাইলের চার্জ যখন একদম শেষের দিকে সেই সময়ে এটার ক্ষতির প্রভাবও তখন বেশি থাকে। এছাড়াও দীর্ঘসময় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় আমাদের মাথা-কানের অংশটা গরম হয়ে যায়। কিন্তু প্রয়োজনেই আমাদের কথা বলতেই হয়।'
ভুক্তভোগী এক নারী জানান, 'দীর্ঘসময় যখন আমি রাতে কথা বলি তখন ঘুম হয় না। আর সকালে গিয়ে আমাকে ক্লাস করতে হচ্ছে। এর প্রভাবটা পরবর্তীতে আমাদের ওপর দিয়ে যায়। ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোনটা বেশি ব্যবহার করার ফলে ঘুমটা একটু দেরিতে আসে।
চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত কথা বললে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশনের প্রভাবে শুধু মাথা ব্যথা নয়, হ্রাস পেতে পারে স্থায়ী শ্রবণশক্তি। হতে পারে মস্তিষ্কের নানা সমস্যা।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম বলেন, মোবাইল ফোনে কথা বলার কারণে শুধু যে মাথার ওপর প্রভাব পড়ছে তা নয়, এটা নারীদের গর্ভকালীন থাকার সময়ে বাচ্চার ওপরও প্রভাব পড়ে।
রেডিয়েশন থেকে বাঁচতে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা-
* যতটা সম্ভব মোবাইল ফোন শরীর থেকে দূরে রাখা
* অতিরিক্ত এন্টেনা ছাড়া গাড়িতে ব্যবহার না করা
* দীর্ঘ সময় মোবাইলে কথা না বলা
* শিশুদের কাছ থেকে ফোন যথাসম্ভব দূরে রাখা
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/জেএ
আপনার মতামত লিখুন :