ঢাকা: ৪২ লাখ মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছে। রোববার ফ্রান্সকে হারাতে পারলে দেশটিতে যে আবেগের বিস্ফোরণ ঘটবে সেটি বলা বাহুল্য। যে দেশের প্রেসিডেন্ট আবেগে থরথর কাঁপেন সে দেশের সাধারণ সমর্থকের অবস্থা একবার ভাবুন।
স্বয়ং প্রেসিডেন্টের অপেক্ষার তর আর সইছে না। অধৈর্য হয়ে পড়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্রাবার কিতারোভিচ। গত বুধবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ক্রোয়েশিয়া উঠেছে ফাইনালে। রোববারের মহারণকে সামনে রেখে ক্রোয়েশিয়ায় এই মুহূর্তে ফুটবল ছাড়া আর কোনও আলোচনা নেই। এই ঢেউ আছড়ে পড়েছে মন্ত্রীদের বৈঠকেও। তারাও ক্রোয়েশিয়ার জার্সি পড়ে রীতিমতো সমর্থক বনে গেছেন।
ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট শুক্রবার বলেছেন, ‘ আমি ভীষণ পুলকিত। রোববার অবধি কী করে অপেক্ষা করব তা নিজেও বুঝতে পারছি না।’ মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন প্রেসিডেন্ট, প্রিয় দলকে সমর্থন জানাতে। কোলিন্ডা বলছিলেন, ‘আমার বিশ্বাস চ্যাম্পিয়ন হব আমরাই।’
১৯৯৮ বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়া তৃতীয় স্থান পেয়েছিল। এবার ফাইনাল। আর একটা ধাপ। জিততে পারলেই ইতিহাস তৈরি করবেন মডরিচ, রাকিতিচরা। ফাইনাল দেখার জন্য ক্রোয়েশিয়া থেকে প্রচুর সমর্থক আসছেন মস্কোয়। পাসপোর্ট নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তাই ক্রোয়েশিয়া প্রশাসন বাড়তি সময় কাজ করে চলেছে। ক্রোয়েশিয়া ফুটবল সংস্থা অবশ্য ফিফার কাছে বাড়তি টিকিটের আবেদন করেছিল। কিন্তু টিকিট শেষ। তাই কালোবাজারে টিকিট কেনা ছাড়া উপায় নেই।
পুতিন, থেরেসা মে’কে ক্রোয়েশিয়ার জার্সি উপহার দিয়েছেন কোলিন্ডা। এবার ক্রোয়েশিয়ার জার্সি উপহার দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোকে। ক্রোয়েশিয়া প্রেসিডেন্ট বলছিলেন, ‘রাজনীতিবিদ কিংবা প্রেসিডেন্ট হিসেবে নয়। একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবে মস্কোয় হাজির থাকব। আশা করব একটা ভালো ম্যাচ হবে।’
সোনালীনিউজ/আরআইবি/জেডআই
আপনার মতামত লিখুন :