ঢাকা : বাংলাদেশে কোনও টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান বা পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে কোন দলের সমর্থক বেশি থাকে? এই প্রশ্নের উত্তর সবার জানা। বাংলাদেশে পাকিস্তানের সমর্থক অনেক বেশি। কারণ হিসেবে বলা হয় পাকিস্তানিরা আমাদের ভাই, তারা মুসলমান আমরাও মুসলমান এসব। কিন্তু সেই পাকিস্তানিরা আমাদের কতটা ভাই বা মুসলমান মনে করে তাঁর একটা জ্বলন্ত উদাহরণ রেখে গেল এশিয়া কাপ।
পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ হলে দু’দেশের মানুষ নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে ম্যাচের দিকে সব মনোযোগ রাখেন। পাকিস্তানিরা কখনই ভারতের কাছে হারতে চায় না। একই ভাবে ভারতীয়রাও পাকিস্তানের কাছে হারকে লজ্জা হিসেবে দেখে।
এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তান ফাইনালের আগেই টানা হেরে বিদায় নেয়। বাংলাদেশে যে প্রচুর পাকিস্তানি সমর্থক আছে সেটি নিশ্চয় অজানা নয় বশির চাচার। তিনি তো পারতেন ফাইনালে বাংলাদেশকে সমর্থন করতে। বশির চাচা কিন্তু তা করেননি। উল্টো ভারতের জার্সি গায়ে তিনি রোহিত শর্মাদের জন্য গলা ফাটিয়েছেন। ভারতের অন্ধভক্ত সুধীর গৌতম ও বাকি ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের সঙ্গে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখলেন পাকিস্তানের বশির চাচা।
শুধু তাই নয়, কেদার যাদব ২৭ তম ওভারে মুশফিকুর রহিমকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর বশির চাচা আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। যা এর মাঝেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
এখানেই শেষ নয়, ভারতীয় ভক্ত সুধীর গৌতমকে এশিয়া কাপ দেখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন বশির চাচাই। সুধীরের দুবাই আসার বিমানের টিকিট সহ, দুবাইয়ে থাকা–খাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করেছিলেন পাকিস্তানের এই বর্ষীয়ান ভক্ত। তারপর ফাইনালে ভারতকে সমর্থন করে গেলেন।
কোনও বাংলাদেশির পাকিস্তানকে সমর্থন করার আগে একটু হলেও ভাবা উচিৎ। পাকিস্তানিরা হলো সেই জাতি যারা এক সময় বাংলাদেশের মানুষকে মুসলমান বলে স্বীকারই করত না। এদেরই পূর্বপুরুষেরা তো আমাদের পূর্বপুরুষদের পিষে মেরেছে ৭১-এ। তারা বাংলাদেশকে সমর্থন করবে, এটা ভাবাই তো বোকামি!
সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :