ঢাকা : সম্প্রতি ২৯টি ভোগ্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। এখন উল্টো আলুর দাম বেড়েছে। সরকার নির্ধারিত দাম ২৮ টাকা হলেও গত দুই দিনে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। যা কয়েকদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগারগুলো থেকে বাজারে আলুর সরবরাহ কমেছে। ফলে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আলুর দাম ৩-৪ টাকা বেড়ে গেছে। এতে খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।
সরেজমিনে রোববার (১৭ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর ও হাতিরপুল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, সাদা ও লাল দুই ধরনের আলু বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।
মালিবাগ কাঁচাবাজারের মুদি দোকানি আরাফাত হোসেন বলেন, পাইকারি বাজারে আলুর দাম বাড়ায় খুচরায় এই পণ্যের দাম বেড়েছে। দুই দিন আগেও প্রতি কেজি আলু ৩৫ টাকায় বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন তা ৪০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। এভাবে চলতে থাকলে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে আলুর দাম আরও বেশি বাড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এই ব্যবসায়ী।
আমাদের হাকিমপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে দিনাজপুরের হাকিমপুরের হিলিতে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। কৃষক পর্যায় ও হিমাগার থেকে আলু সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব দোকানেই প্রচুর আলু রয়েছে। বর্তমানে কাটিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। এছাড়া দেশীয় গুটি জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা মনিরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আলুর ভরা মৌসুম চলছে। সেই সঙ্গে ভারত থেকেও আলু আমদানি হচ্ছে এরপরেও আলুর দাম বাড়ছে। এর কারণ হচ্ছে বর্তমানে অধিকাংশ কৃষক তাদের উৎপাদিত আলু বাজারে বিক্রি না করে বাড়িতে মজুদ করে রাখছেন। আবার কেউ কেউ তাদের আলু হিমাগারগুলোতে রাখছেন। এ কারণে মোকামগুলোতে আলুর সরবরাহ অনেকটা কম লক্ষ করা যাচ্ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমের কারণেই আলুর দাম বাড়ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, এক মাস বন্ধের পর গত ৯ মার্চ আবারও বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্দর দিয়ে ৩ দিনে ৭টি ট্রাকে ১৫৬ টন আলু আমদানি হয়েছে।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :