ঢাকা: গ্রামীণের নামে গড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নেওয়া কর সুবিধার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কর সুবিধা নেওয়াকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার(২৬ জানুয়ারি )সচিবাললয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান, ইউনূসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর আদায়ে অর্থ মন্ত্রণালয় কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে কি না। এর জবাববে একথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য দেওয়ার এক পর্যায়ে গ্রামীণফোন নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় নোবেলজয়ী ইউনূসকে ‘চিটিংবাজ’ বলে আখ্যায়িত করেন শেখ হাসিনা। ইউনূস মামলা করে তার স্থায়ী আমানতের কর দিচ্ছেন না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার টাকা আছে প্রচুর। ট্যাক্স দেন না। মামলা করে রেখে দিয়েছেন। ট্যাক্স না দিয়ে ভালোই চলছেন।
এর প্রেক্ষিতে আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, ইটস আ ভেরি ডিফিক্যাল্ট ইস্যু...। প্রফেসর ইউনূস গ্রামীণের নামে সব প্রতিষ্ঠানে কি নিয়েছেন? ট্যাক্স বেনিফিট নিয়েছেন, ইট ইজ ইল্লিগ্যাল। এটা তদন্ত করা হচ্ছে।
জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, গ্রামীণ ব্যাংক সুদমুক্ত; এটা সত্য। কিন্তু তার পাশাপাশি ৪০-৫০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেগুলো তো সুদমুক্ত নয়। সেইগুলোর ট্যাক্স কেন সরকারকে দেবে না? সেই রিপোর্টও এনবিআরের কাছে আছে। পাশে থাকা আবুল মাল আবদুল মুহিতের দিকে তাকিয়ে শেখ হাসিনা সংসদে বলেন, এখানে অর্থমন্ত্রী আছেন। এটা তার দায়িত্ব। তিনি এটা দেখবেন। তিনি ব্যবস্থা নেবেন। আমি বলতে গেলে শুরু হবে নানা কথা।
২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে নোলেন বিজয়ী ড. মুহাম্মাদ ইউনূসকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোনালীনিউজ/আতা
আপনার মতামত লিখুন :