সোনালীনিউজ ডেস্ক
কয়টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে : এখন পর্যন্ত দুই আমেরিকার অন্তত ২৫টি দেশে ভাইরাসটি স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়েছে। আক্রান্ত দেশগুলো হচ্ছে বার্বাডোজ, বলিভিয়া, ব্রাজিল, কেপ ভেরদে, কলম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, ফ্রেঞ্চ গুয়ানা, গুয়াদেলুপ, গুয়েতেমালা, গুইয়ানা, হাইতি, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, মারতিনিক, প্যারাগুয়ে, পুয়ের্তো রিকো, সেন্ট মার্টিন, সুরিনাম, সামোয়া, দ্য ইউএস ভার্জিন আইল্যান্ডস ও ভেনেজুয়েলা। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট সিডিসি এ তথ্য দিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে এই ভাইরামেস অসিস্ত্ব পাওয়া গেছে।
জিকা ভাইরাসের কি ধরনের ভাইরাস এবং কতটা মারাত্মক : ইয়েলো ফিভার, ওয়েস্ট নাইল, চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু যে গোত্রের সদস্য ও এই ভাইরাসও একই গোত্রের অন্তর্ভুক্ত একটি ফ্লাভিভাইরাস। তবে উপরোক্ত ভাইরাসের কয়েকটির টিকা বা চিকিৎসা থাকলেও জিকার কোনো টিকা বা চিকিৎসা নেই। জিকা যে কারণে বিশ্বের মনোযোগ টেনেছে তা হলো মাইক্রোসেফালি
ও ভাইরাসটির মধ্যে যোগসূত্র। মাইক্রোসেফালির কারণে সদ্যজাত শিশুদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিক আকারের চেয়ে ছোট হয় । এছাড়া এর কারণে শিশুদের মাঝে বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দেয় এবং কখনো কখনো মৃত্যুও হতে পারে।জিকা ভাইরাস কিভাবে ছড়ায় : এডিস মশার মাধ্যমে এটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে এমন কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে। এভাবেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে সংক্রামিত ব্যক্তিদের শরীরে ভাইরাসটির উপসর্গ দেখা যায়।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভাইরাসটির উপসর্গ হালকা
এই ভাইরাস থেকে নিরাপদ থাকার উপায় : যেহেতু এখন পর্যন্ত এটি প্রতিরোধে কোনো টিকা বা এর চিকিৎসায় কোনো ওষুধ আবিষ্কার হয়নি তাই সংক্রামিত অঞ্চল বা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এটাই একমাত্র উপায় বলে বিশেষজ্ঞদের মত। সূত্র : সিএনএন
সোনালীনিউজ/ঢাকা/মে
আপনার মতামত লিখুন :