গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে পৃথক অভিযানে ১১ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে। শনিবার প্রায় একই সময় গাজীপুরের দুটি স্থানে জঙ্গি আস্তানায় র্যাব-পুলিশ অভিযান চালায়। একই সময়ে টাঙ্গাইলে র্যাবের আরেক অভিযানে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি নিহত হন।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, সোয়াত ও গাজীপুর জেলা পুলিশ পাতারটেক এলাকার ওসমান আলীর দোতলা বাড়িতে এ অভিযান শুরু করে। এতে নিহত হন ৭ ‘জঙ্গি’। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে।
শনিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
এদিকে এঘটনার আগে আধা কিলোমিটারের মধ্যে ভোরে গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার হারিনাল পশ্চিমপাড়া লেবুবাজার এলাকার আতাউর রহমানের একতলা বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব। এতে দুজন নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন র্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি বলেন, নিহতদের একজন রাশেদুল (২০) এবং অন্যজন তৌহিদুল ইসলাম (২২) বলে বাড়ির মালিক আতাউর জানিয়েছেন। তৌহিদ ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েটে) শিক্ষার্থী, রাশেদ এবার এইচএসসি পাস করেছে।
ওই বাড়ি থেকে একটি একে-২২ রাইফেল, একটি পিস্তল, রাইফেলের ৭০ রাউন্ড গুলি, কিছু বিস্ফোরক ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধারের কথা জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে বেলা পৌনে ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদরের পৌর এলাকার কাগমামারার মির্জামাঠের এক বাড়িতে গোপন সংবাদে অভিযান চালায় র্যাব। ওই অভিযানে র্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুই ‘জঙ্গি’ নিহত হয় বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদে সকালে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে র্যাবের পাল্টা গুলিতে দুই জঙ্গি নিহত হয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে যারা ছিল, সবাই জঙ্গি গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। কিছু একটা করার জন্য তারা এখানে ছিল। এদের পরিচয় আমরা পরে জানাব।”
গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে কয়েকটি জঙ্গি আস্তানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে বেশ কয়েকজন জঙ্গি নিহত হন। এরপর গাজীপুরে এক দিনে দুটি আস্তানায় অভিযান হল, যাতে নিহত হলেন নয়জন।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন
আপনার মতামত লিখুন :