ঢাকা: যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট। রোববার (৬ অক্টোবর) ভোর ৫টায় তাকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সহযোগী আরমানসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই এই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এদিকে, সম্রাট আমাকে ভয় পেত। ও ভাবতো আমি বোকা আমি সব কথা ফাঁস করে দিব। তাই আমার ক্যামেরার সামনে আসা পছন্দ করতো না। সম্রাট যা আয় করতেন তা জুয়ার পিছনেই দিয়ে দিত। তার টাকা পয়সার কোন নেশা নেই, তার সব নেশা জুয়াকে ঘিরেই। রবিবার সম্রাটের মহাখালীর বাসায় র্যাবের অভিযানের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চোধুরী।
রোববার (৬ অক্টোবর) সম্রাটের মহাখালী বাসায় অভিযান চলা কালে দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন চোধুরী এই তথ্য দেন।
তিনি বলেন, বিদেশে গেলে বিদেশি মেয়েদের সাথে থাকতো মালয়েশিয়া বা চায়নার হবে। আমাকে নিয়ে যেত না বলে জানন দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন। দুই বছর ধরে আলাদা থকেন শারমিন আর সম্রাট তবে ডিভোর্স এখনও হয়নি। আলাদা থাকলেও সংসারের মাসিক খরচ দিত সম্রাট।
সারমিন চৌধুরী আরো বলেন, সম্রাট জুয়াড়ী হলেও পরিবারের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল ছিল বলেন শারমিন। শারমিন ধর্মানুরাগী তাই তিনি অবৈধ টাকা পছন্দ করতো না। তাই সে শারমিনের সংসারের জন্য অবৈধ টাকা খরচ করতো না।
তিনি বলেন, ওপেনহার্ট সার্জারি করার কারণে দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিনের সাথে দেখা করতে আসতে না সম্রাট এ কথাও জানান তিনি। আমি নামাজ পড়ি ঘরে থাকি এমনটাই চাইত আমার স্বামী তাই তিনি সেভাবেই আমি থেকেছি বলেন শারমিন। বিয়ের আগে জুয়া কি তাই আমি জানতাম না। আর এভাবে যে জুয়া খেলা য়ায় সেটা তার জানা ছিল না বলে উল্লেখ করেন শারমিন চৌধুরি।
চলমনা এই অভিযানে জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেশরত্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চাই। এই দুনীর্তি অভিযানের জন্য।
সম্রাটকে গ্রেফতার করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই অভিযান আরো চালালে ভালো হতো।
এর আগে রোববার (৬ অক্টোবর) ভোট ৫টার দিকে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। র্যাবের গোয়েন্দা সূত্র বলছে, কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি। সেখানে এক আত্মীয়র বাসায় ছিলেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, সুযোগ বুঝে সীমান্ত দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যাওয়ার।
তবে র্যাবের কাছে গোয়েন্দা তথ্য থাকায় সে সুযোগ আর কাজে লাগাতে পারেননি ক্যাসিনো সম্রাট। মধ্যরাত থেকে তার আত্মীয়র বাড়িটি ঘেরাও করে রেখে তাকে আটক করা হয়।
তাকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারওয়ার বিন কাশেম।
র্যাব ও পুলিশ বলছে, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তারাই সম্রাটের নাম বলছেন। রাজধানীর ক্লাবপাড়ায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে সম্রাটের বিরুদ্ধে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :