ঢাকাঃ এর মাঝেই বয়স ৩২ পার হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এই বয়সটাই অনেক বেশি। তারপরও সুযোগ যখন পেয়েছেন আশা করতে দোষ কী! বলা হচ্ছিল জহুরুল ইসলামের কথা। যার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার থেমে আছে সাত টেস্ট, ১৪ ওয়ানডে আর তিন টি-টোয়েন্টিতে। সবশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন ২০১৩ সালে। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে থাকছেন না তামিম ইকবাল। তাঁর শূন্যতা পূরণে একজন ওপেনার দরকার। যে কজন ওপেনার লড়াইয়ে আছেন তার মধ্যে জহুরুলও আছেন।
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে টানা ভালো খেলার পর বিসিবি একাদশের হয়ে ভারতেও পারফর্ম করেছেন। মঙ্গলবার (২০ অগাস্ট) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিটনেস ট্রেনিং শেষে জহরুল সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে জহুরুল জানিয়ে গেলেন তামিমের শূন্যতার সুযোগ কাজে লাগাতে চান তিনি,‘ তামিম অনেক বড় মানের খেলোয়াড়। ওর শূন্যতা পূরণ করাটা কঠিন। এখানে একটা সুযোগ রয়েছে, বাকি যারা আছে সাদমান, ইমরুল, আমি ও সৌম্য। টেস্ট ক্রিকেট ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় ফরম্যাট। যদি এখানে পারফর্ম করা যায় তাহলে সব ফরম্যাটে পারফর্ম করা সহজ। আমি বলব যেহেতু তামিম নাই, যারা সুযোগ পাবে তাদের জন্য বিরাট সুযোগ।’
এরপর জহুরুল যোগ করেন,‘ অনেকদিন পর প্রাথমিক দলে জায়গা পেলাম। সব খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন জাতীয় দলে খেলবে। তো এই উদ্দেশ্যে প্রত্যেক বছর শুরু করি। এই বছর প্রিমিয়ার লিগে ভালো করার পর আমাকে ‘এ’ দলে ডাকল। ‘এ’ দলেও ভালো হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। তারপর প্রাথমিক স্কোয়াডে ডাক পেলাম। এখন সব কিছু আমার চেষ্টা এবং আল্লাহর সহায়তার উপর। দেখা যাক।’
জাতীয় দলে ফেরার পথে জহুরুলের সবচেয়ে বড় বাধা হতে পারত ফিটনেস। কিন্তু ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান জানাচ্ছেন, এই জায়গায় তিনি উন্নতি করেছেন ব্যাপক যার প্রমাণ মিলেছে ফিটনেস টেস্টেও, ‘আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছি নিজের টেকনিক উন্নতি করার এবং ফিটনেস নিয়ে কাজ করার। বাকিটা নির্বাচকদের ওপর। উনাদের যদি দরকার মনে হয় আমাকে নেবে এবং আমি আমার সর্বোচ্চ দেওয়ার চেষ্টা করব।’
সোনালীনিউজ/আরআইবি/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :