শিশুর ডায়রিয়ার লক্ষণ, চিকিৎসা ও করণীয়

  • স্বাস্থ্য ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২৪, ১১:৪০ পিএম
শিশুর ডায়রিয়ার লক্ষণ, চিকিৎসা ও করণীয়

ঢাকা : ডায়রিয়া শিশুদের খুবই পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা। সাধারণত ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হওয়াকে ডায়রিয়া বলে। চিকিৎসকদের মতে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বার বা তার অধিক পাতলা পায়খানা হলে তাকে ডায়রিয়া বলা হয়। বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া কিংবা পরজীবীর সংক্রমণে ডায়রিয়া হতে পারে। মূলত খাবার ও পানির মাধ্যমে ডায়রিয়ার জীবাণু শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। 

লক্ষণ: খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া। ডায়রিয়া শুরুর প্রথম দিকে শিশুর বমি হতে পারে, পরে অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে বমি কমে যায়। অনেক সময় শিশুর জ্বর থাকতে পারে। তবে জ্বর এলেও তা খুব একটা তীব্র হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শরীর হালকা গরম থাকে।

পানিস্বল্পতার লক্ষণ ও প্রতিরোধ: ডায়রিয়ার সময় শিশুর দেহে পানিস্বল্পতা দেখা দেয়। পানিস্বল্পতা হলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়ে, অস্থিরতা দেখা দেয় এবং প্রস্রাব কমে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়। ডায়রিয়াজনিত পানিস্বল্পতার লক্ষণগুলো হচ্ছে # অস্থির ভাব, খিটখিটে মেজাজ বা নিস্তেজ হয়ে যাওয়া # চোখ গর্তে ঢুকে যাওয়া # তৃষ্ণার্ত ভাব বা একেবারেই খেতে না পারা # শরীরের চামড়া ঢিলা হয়ে যাওয়া

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে শিশুকে দ্রুত কাছাকাছি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর খাওয়ার স্যালাইন দিতে হবে। প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর শিশুর যত কেজি ওজন তত চা-চামচ পরিমাণ খাবার স্যালাইন খাওয়াতে হবে। শিশু বমি করলে ধীরে ধীরে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এক্ষেত্রে ৩ বা ৪ মিনিট পরপর ১ চা-চামচ করে খাবার স্যালাইন খেতে দিন। খাবার স্যালাইনের পাশাপাশি শিশুকে বারবার তরল খাবার যেমন: ডাবের পানি, চিঁড়ার পানি, ভাতের মাড়, টক দই, লবণ-গুঁড়ের শরবত ইত্যাদি খেতে দিতে হবে। শিশু বুকের দুধ খেলে তাকে ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বয়স ৬ বছরের বেশি হলে বাসায় রান্না করা সব ধরনের খাবার দেওয়া যাবে। ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে কোমল পানীয় ও প্রক্রিয়াজাত ফলের জুস খাওয়ানো যাবে না।

ডায়রিয়ার চিকিৎসা: ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুকে দিনে একটি করে টানা ১০ দিন জিংক ট্যাবলেট সেবন করাতে হবে। জিংক ডায়রিয়ার তীব্রতা কমায় এবং আন্ত্রিক কোষসমূহের ডায়রিয়াজনিত ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে।

এছাড়া জিংক অন্ত্রের পানি ও খনিজ লবণ শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়। ডায়রিয়া যদি দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে না সারে, তবে শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো উচিত। আক্রান্ত শিশুকে কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া যাবে না।

এমটিআই

Link copied!