ঢাকা: বিদ্যা বুদ্ধি ও সাহসের প্রতীক আফ্রিকান রানী আমিনা সাড়ে চারশো বছর আগে বদলে দিয়েছিলেন নারীদের সম্পর্কে পুরো বিশ্বের ধারণা। ষোড়শ শতকে বর্তমান নাইজেরিয়ার রানী ছিলেন আমিনা। এখনো সাহসিকতা ও বুদ্ধিমত্তার জন্য আফ্রিকানদের কাছে অনুকরণীয় হয়ে আছেন তিনি।
রানী আমিনা। সাধারণত মানুষ তাকে যুদ্ধের রানী বলেই জানেন। যিনি পৃথিবীকে এক অর্থে বদলে দিয়েছেন। কারণ ধারণা করা হয় রানী আমিনাই প্রথম নারী যিনি কোনো পুরুষতান্ত্রিক সমাজের শাসক হয়েছিলেন।
আমিনার জন্ম ১৫৩৩ সালে। আধুনিক সময়ের নাইজেরিয়ার একটি প্রদেশ, যাযাউতে তার জন্ম ।তাঁর পরিবার ছিল সমৃদ্ধশালী। তারা মূলত বিভিন্ন ধাতু, কাপড়, বাদাম, লবণ ও ঘোড়ার ব্যবসা করতেন।
যখন তাঁর বাবার মৃত্যু হয়, তখন তাঁর ভাই কারামা সিংহাসন গ্রহণ করেন। কিন্তু আমিনা বেছে নেন ভিন্ন এক পথ।তিনি যোদ্ধা হিসাবে কঠোর প্রশিক্ষণ শুরু করেন এবং পুরুষ প্রধান যাযাউ সামরিক বাহিনীর সকলের সম্মান আদায় করে নেন।
তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর পর, আমিনা তাদের সম্প্রদায়ের প্রথম 'রানী' হন।ক্ষমতা গ্রহণের কয়েকমাস পরেই তিনি তাঁর সামরিক অভিযান শুরু করেন।
কথিত আছে প্রত্যেক যুদ্ধজয়ের পর তিনি সেই সম্প্রদায়ের রাজাকে এক রাত বন্দী অবস্থায় রেখে পরদিন মৃত্যুদণ্ড দিতেন।
আমিনা তার তীক্ষ্ণ যুদ্ধ কৌশল ও বিচক্ষণতায় বিশ হাজার যোদ্ধা নিয়ে একের পর এক যুদ্ধাভিযান চালিয়ে যান।
বর্তমানে নাইজেরিয়ায় তিনি আমিনা নামেই পরিচিত। তাকে আফ্রিকার মানুষ তাকে পুরুষের সমান ক্ষমতাশালী হিসেবে দাবি করে।
সোনালীনিউজ/জেডআরসি/আকন
আপনার মতামত লিখুন :