ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজস্ব কৌশল নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জোট গঠন না করলেও সমমনাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী ঘোষণা করবে দলটি। মূল লক্ষ্য-একই আসনে একাধিক ইসলামী বা সমমনাদের প্রার্থী না দিয়ে ভোট বিভক্তি রোধ করা।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।
তিনি বলেন, দলটি বর্তমানে আটটি ইসলামী দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। তবে এটি কোনো আনুষ্ঠানিক জোট নয়। বরং পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে প্রার্থী দেওয়া হবে। অর্থাৎ একটি আসনে যদি কোনো ইসলামী দল প্রার্থী দেয়, সেখানে অন্য দল প্রার্থী দেবে না। এতে ভোটের হিসাব জটিল না হয়ে কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে উঠবে বলে আশা করছেন জামায়াতের নেতারা।
এনসিপি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি) নামের একটি দল ২০টি আসন চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে হামিদুর রহমান আযাদ জানান, ইসলামী দলগুলোর বাইরেও অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আগে এই আলোচনায় আরও কিছু দল যুক্ত হতে পারে বলেও জানান তিনি।
জামায়াত নেতা আরও বলেন, শুক্রবার (৬ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি স্মারকলিপি দেওয়া হবে, যেখানে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের দাবি জানানো হবে। তবে সরকারের সিদ্ধান্তকে তারা শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নির্বাচনে জামায়াত তাদের সাংগঠনিকভাবে শক্ত এলাকাগুলোতে এককভাবে লড়বে এবং যেসব আসনে অন্য সমমনাদের অবস্থান শক্ত, সেসব জায়গা ছেড়ে দেবে। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী ভোট ভাগ না হয়ে ইসলামী ভোটব্যাংক এক জায়গায় কেন্দ্রীভূত করার কৌশল নিয়েছে দলটি।
নির্বাচন ঘিরে এমন কৌশলকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা জামায়াতের ‘নরম কিন্তু কার্যকর জোটনীতি’ বলে মনে করছেন।
এসএইচ