• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এসআই আকবরের গ্রেফতারের দাবিতে আমরণ অনশনে রায়হানের মা


সিলেট প্রতিনিধি অক্টোবর ২৫, ২০২০, ০২:৫১ পিএম
এসআই আকবরের গ্রেফতারের দাবিতে আমরণ অনশনে রায়হানের মা

ছবি: সংগৃহীত

সিলেট : ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে রোববার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে অনশনে বসেন নিহত রায়হানের মা ও তার পরিবারের সদস্যরা। সিলেটে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান হত্যার সঙ্গে জড়িত এসআই আকবর হোসেন ভুঞাসহ সকল আসামিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন রায়হান আহমদের (৩৪) মা সালমা বেগম। 

ছেলে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে রোববার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির সামনে অনশনে বসেন সালমা বেগম। এসময় তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন ধরনের ফেস্টুন প্রদর্শন করেন।

এ সময় সালমা বেগম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে তাদেরকে কেন এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিলে এ ঘটনায় জড়িত সবার নাম বেরিয়ে আসবে। এই ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবরকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। সব দোষীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে। আমার ছেলেকে যেখানে হত্যা করা হয়েছে, প্রয়োজনে আমিও সেখানে মারা যাব।’

গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হানের মৃত্যু হয়।

রায়হান সিলেট নগরের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার বিডিআরের হাবিলদার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরের রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে চাকরি করতেন।

এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু আইনে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। এ ঘটনায় ওই ফাঁড়ির পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে পিবিআইতে স্থানান্তর হয়। তদন্তভার পাওয়ার পর পিবিআইর টিম ঘটনাস্থল বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, নগরের কাস্টঘর, নিহতের বাড়ি পরিদর্শন করে এবং লাশ কবর থেকে তোলার পর পুনরায় ময়নাতদন্ত করা হয়।

এ সময় নিহত রায়হানের মরদেহে ১১১ আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এসব আঘাতের ৯৭টি ফোলা আঘাত ও ১৪টি ছিল গুরুতর জখমের চিহ্ন। এসব আঘাতগুলো লাঠি দ্বারাই করা হয়েছে।

অতিরিক্ত আঘাতের কারণে হাইপোভলিউমিক শক ও নিউরোজেনিক শকে মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো কর্মক্ষমতা হারানোর কারণে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে বলে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।

রায়হানের মৃত্যুর জন্য ‘দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!