• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাড়ির সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ


লালমনিরহাট প্রতিনিধি অক্টোবর ২৭, ২০২০, ০৮:০১ পিএম
সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাড়ির সামনে লাশ নিয়ে বিক্ষোভ

ছবি: প্রতিনিধি

লালমনিরহাট : লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কলেজ প্রভাষক তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্নার গ্রেফতারের দাবীতে লাশ নিয়ে মন্ত্রীর বাড়ির ফটকে মানববন্ধন ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন স্থানীয়রা।

মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনমজুর খলিলের মৃতদেহ নিয়ে প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়। দিনমজুর খলিল মিয়া (৩৪) কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাশিরাম গ্রামের আবদার মুন্সির ছেলে।

অবরোধকারী স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাশিরাম গ্রামের ফজলু মাস্টারের মেয়ে স্থানীয় উত্তর বাংলা কলেজের প্রভাষক এস. তাবাস্সুম রায়হান মুসতাযীর তামান্না সামান্য বিষয় নিয়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি করে গ্রামবাসীকে জিম্মি করে। তার হয়রানির প্রতিবাদে থানায় অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা আমলে না নিয়ে উল্টো তামান্নার মিথ্যা মামলা গ্রহণ করে প্রায় অর্ধশত নিরীহ গ্রামবাসীকে হাজতবাস করেছেন। কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রামবাসীকে হয়রানি করে আসছেন তামান্না। হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে গ্রামবাসী একাধিকবার গণপিটিশন দিয়েও প্রতিকার পায়নি।

তামান্নার দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলায় ওই গ্রামের দিনমজুর খলিল মিয়া আদালতে যাওয়ার পথে অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। এরপরে  রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইদিন চিকিৎসাধীন থেকে সোমবার (২৬ অক্টোবর) মারা যান দিনমজুর খলিল মিয়া।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে তামান্নার গ্রেফতার ও  কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদের প্রত্যাহারসহ তামান্নার দায়ের করা সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মৃত খলিলের মরদেহ নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের বাড়ির ফটকের সামনে মানববন্ধন করে। পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে অবরোধ তুলে নিতে  চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন কালীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম। এতে মহাসড়কের উভয় প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

এসময় দুই দিনের সফরে আসা সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের গাড়ি বহরও আসতে বিলম্ব হয়। দীর্ঘ যানজট অতিক্রম করে দুই ঘণ্টা পরে মন্ত্রীর গাড়ি বাড়ির সামনে পৌঁছলে মন্ত্রী তাদের দাবি ভেবে দেখার আশ্বাস দিলেও মহাসড়ক ছেড়ে দেয়নি গ্রামবাসী। অসুস্থ মন্ত্রীকে বাড়িতে প্রবেশের সুযোগ দিলেও মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা।

অবশেষে দুপুর দেড়টার দিকে অবরোধকারী গ্রামবাসীর কয়েকজনকে নিজ বাড়িতে ডেকে নেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। এ সময় গ্রামবাসীর দাবিগুলো শুনে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তামান্নার বিরুদ্ধে ইতিপূ দাখিল করা অভিযোগ আমলে নিয়ে তাকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয়রা।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!