• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ


সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি অক্টোবর ২৮, ২০২০, ০৯:১৭ পিএম
প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে গ্রামের অলিগলিতে বিক্রি হচ্ছে মা ইলিশ

মুন্সীগঞ্জ : সিরাজদিখান উপজেলার গ্রামগঞ্জের অলিগলিতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। ভোর সকাল হতে দুপুর এমনকি সন্ধ্যাকালীন সময়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে পদ্মার ইলিশ।

ইলিশের অভয়ারণ্য মুন্সীগঞ্জের পদ্মা ও মেঘনা নদীতে গত কয়েকদিনের পৃথক অভিযানে জেলেকে কারাদণ্ডসহ কয়েক কোটি হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও শতাধিক ট্রলার জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশ। পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মৎস্য অফিস ছিলেন।

এদিকে জব্দকৃত কারেন্ট জালগুলো আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা এবং জব্দ করা ট্রলার নদীতে ডুবিয়ে দেয় নৌ-পুলিশ।তারপরেও লৌহজং ও শ্রীনগরসহ কয়েকটি উপজেলা অতিক্রম করে সিরাজদিখান উপজেলার গ্রামগুলোতে ভাসমান হাট বসিয়ে দেদার বিক্রি করা হচ্ছে ইলিশ মাছ।

গ্রাম এলাকায় ইলিশের ভ্রাম্যমাণ বাজার দেখলে সহজেই বুঝা যায় অসাধু জেলেরা এখনো বেপরোয়াভাবে মা ইলিশ শিকার অব্যাহত রেখেছে। জানা যায়, অসাধু জেলেরা প্রতিদিন কয়েকশ মণ মা ইলিশ নিধনের পর পদ্মা-মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভাসমান হাট বসিয়ে দেদারছে বিক্রি করে ইলিশ।কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী পদ্মা-মেঘনা তীরবর্তী গ্রামগুলোর ভাসমান হাট থেকে ৩ শত ৪ শত টাকা কেজি করে ক্রয় করে নিয়ে এসে দূরের গ্রাম এলাকায় সেগুলোকে ৬ / ৭ শত টাকা কেজিতে বিক্রি করছে। প্রশাসন-আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ফাঁকি দিয়ে অসাধু জেলেরা মা ইলিশ শিকার ও কেনাবেচা অব্যাহত রেখেছে যেগুলো ছড়িয়ে পড়ছে প্রান্তিক এলাকায়।

স্থানীয়রা জানায়, অন্যান্য বছর সিরাজদিখান উপজেলায় ইলিশ বেচাকেনা এ বছরের চেয়ে বেশী ছিলো।পদ্মা পার থেকে বালুচর লতব্দী ইউনিয়নের গ্রামে এনে মা ইলিশ বিক্রি করতে পারলে ইনকাম বেশী হয় বলে জানান এক ইলিশ মাছ বিক্রেতা। ইলিশ বেঁচাকেনার নিরাপদ স্থান হলো সিরাজদিখান থানার বালুচর লতব্দি ও বাসাইল ইউনিয়নের এলাকাগুলো এখানে কোন অভিযান নাই বলে পদ্মার জেলেদের থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ মা ইলিশ ক্রয় করে নিয়ে আসা হয় এইসব এলাকায়।

প্রতিদিন মণকে মণ ইলিশ প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে সিরাজদিখান থানার কয়েকটি ইউনিয়নে অনায়াসে ডুকে যায় এবং দেদারছে ব্যবসা করে বলে জানান মা ইলিশ নিধনের চক্র। পদ্মার আশেপাশে ইলিশ রক্ষায় সরকারের কঠোর পদক্ষেপ থাকলেও সরজমিনে এখানে আসলে মনে হবে ইলিশ বিক্রির এই অভয়ারণ্য হয়তো মুন্সীগঞ্জের বাইরে। মা ইলিশ রক্ষায় স্থানীয় আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে মা ইলিশ রক্ষা নিয়ে সাধারণ জনগনের মনে নানা রকম প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।

সিরাজদিখান উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল,বলেন মা ইলিশ রক্ষায় আমরা যথেষ্ট তৎপর রয়েছি।প্রতিদিন আমরা উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে মনিটরিং করছি।আমাদের কাছে এখনো ধরা পড়েনি।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!