• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সবজির দাম কমলেও আলুর দাম বাড়ছে


নীলফামারী প্রতিনিধি নভেম্বর ২৩, ২০২০, ১২:৪৪ পিএম
সবজির দাম কমলেও আলুর দাম বাড়ছে

নীলফামারী: বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, ধনিয়া পাতা, লাউ, পটল ও বেগুনের দাম কমলেও নীলফামারীতে বেড়েছে আলুর দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ১০ টাকা।  আলু পাইকারি বাজারে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে খুচরা বাজারের প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকায়। 

ওই বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেন বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে আলু বিক্রি হয়েছিল ৩৬ টাকা কেজি দরে। সেখানে আজ প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৮-৯ টাকা। তবে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, ধুনিয়া পাতা, লাউ ও বেগুনের দাম সহনীয় পর্যায় এসেছে। 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে দুইগুন। পাইকারি বাজারে প্রকারভেদে আলুর কেজি ৩৬-৩৮ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খুচরা দোকানে বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা।

ওই বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সফিজুল ইসলাম বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আড়তে প্রতি মণ আলুর দাম ১ হাজার ৪৪০ টাকা। আর সোমবার তা বেড়ে প্রতিমণ ১ হাজার ৮০০ টাকা। গৃহস্থ পর্যায় আলু বীজ সংরক্ষণের কারণে আলুর বাজার অস্থিতিশীল। তাই গত এক সপ্তাহে আলুর প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছ ৮-৯ টাকা।’

একই বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী বুলুমিয়া ও ইলিয়াস আলী বলেন, ‘এখন আলু রোপণের পুরো মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই গ্রাম পর্যায়ে আলুর গিরি হিমাগার থেকে আলুর বীজ উত্তোলন করে জমিতে বুনছে। তাছাড়া উৎপাদিত আলুর তিন ভাগের দুইভাগই বীজ হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।’
 
বাজারে সবজি কিনতে এসে আলেয়া বেগম বলেন, কারেজ আলু ৬ কেজি কিনেছি ১৮০ টাকায়। ওই আলু এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি কিনেছে ২২-২৩ টাকা কেজি দরে। এসময় আলু রোপণের প্রধান সময় তাই হিমাগারের মালিক ও গৃহস্ত বাড়ির লোকজন আলু বীজ হিসেবে বিক্রি করছে। এতে তারা বেশি লাভবান হচ্ছে। এ জন্য খাওয়ার আলুর দাম কমছে না। এ ছাড়াও করোনায় চাল, ডাল তেল ও আলু বিতরণ করেছে বিভিন্ন সংস্থা। এই কারণে আলুর ওপর চাপ পড়েছে। 

জেলা শহরের নিউবাবু পাড়ার কৃষক মহুবার রহমান জানান, এক কেজি আলুর দাম ৪৫ টাকা। প্রকার ভেদে কেজি প্রতি চালের দামও ৪৪-৪৫ টাকা। চাল আর আলু দু’টাই বাজারে পাল্লা দিয়ে চলছে। 

এদিকে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে শীতের সবজি সরবারহ বাড়ায় দাম কমেছে। ৭০ টাকার বরবটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৫, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২০, ৬০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা। চিচিঙ্গা ৩০ টাকা কমে ১২, করলা প্রতিকেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা। পাতা কপি ৩৫ টাকা কমে ৩০ টাকা ও ফুল কপি শুধু ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। 

জেলা প্রশাসনের মাকেটিং কর্মকর্তা এরশাদ আলম খান বলেন, ‘টানা বৃষ্টি আর বন্যায় কৃষিকের জমিতে সবজি পচে যাওয়ার কারণে আলুর ওপর চাপ বেড়েছিল। আবার হিমাগারের আলু এখন বীজ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। তাই এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আলুর দাম বেড়েছে ৪-৫ টাকা। তবে শীতে সবজির সরবারহ বাড়ায় সাধারণ ভোক্তরা শান্তির শ্বাস ফেলছে। কিছু দিনের মধ্যে নতুন আলু বাজারে উঠলে এই দাম থাকবে না।’

সোনালীনিউজ/টিআই

Wordbridge School
Link copied!