• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আখাউড়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক  


আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি জানুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৬:২৩ পিএম
আখাউড়ায় বোরো আবাদে ব্যস্ত কৃষক  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে চলতি মৌসুমে বোরো ধান আবাদ শুরু হয়েছে। উপজেলার সর্বত্র চলছে উৎসবের আমেজ। স্থানীয় কৃষকরা জমিতে হাল চাষ, সেচ পানি দিয়ে জমি প্রস্তুতসহ চারা রোপনে এক প্রকার দিনভর ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

এদিকে গত আমন মৌসুমে ধানের ফলন ও বিক্রিতে ভাল দাম পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা খুবই খুশি। তাই তারা বোরো ধান আবাদে মাঠে নেমে কাজ করছেন। গত আমন মৌসুম থেকে এ মৌসুমে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে বেশী ধান আবাদ করা হচ্ছে। আমনের চাইতে চলতি বোরো আবাদে জমিতে ফলন ভাল করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো চাষ আবাদে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। রোপনকৃত জমির মধ্যে উন্নতফলনশীল বীজসহ বিভিন্ন রকমের বীজ রয়েছে।

সরেজমিনে পৌর এলাকায় তরাগন, দেবগ্রাম, নারায়নপুর, খড়মপুর উপজেলার আজমপুর, নুরপুর, হীরাপুর, উমেদপুর, বাউতলা, সাতপাড়া, ধাতুর পহেলা, তোলাবাড়ি, কুসুমবাড়ি, নুনাসারসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় কৃষকরা বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুত, চারা উত্তোলন ও রোপনের কাজে তারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বোরো চাষ আবাদে শ্রমিক সংকট থাকায় মজুরিও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এদিকে বেশ কয়েক দিন ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থাকায় বীজ তলা নষ্ট হওয়ার আশংকায় স্থানীয় কৃষকরা এক প্রকার চিন্তিত হয়ে পড়েন। তবে কৃষি বিভাগ থেকে আক্রান্ত বীজ তলা রক্ষায় সার্বিক ভাবে পরামর্শ দেওয়ায় তেমন কোন ক্ষতি হয়নি।

উপজেলার ধাতুর পহেলা গ্রামের কৃষক মো. আব্দুল কাইয়ুম বলেন, চলতি মৌসুমে ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হবে। ইতিমধ্যে তার ৫ বিঘা জমিতে ধান চারা লাগানো হয়। তিনি আরো বলেন প্রচন্ড শীত থাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ার অতিরিক্ত মজুরি দিয়ে জমিতে কাজ করতে হচ্ছে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে বাকী জমিগুলোতে চারা রোপনের কাজ শেষ হবে।

কৃষক মো. আলমগীর হোসেন জানায়, গত মৌসুমে ১২ বিঘা জমিতে আমন আবাদ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। তাই এ মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করছেন তিনি। ইতিমধ্যে ৮-১০ বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা লাগানো হয়েছে বলে জানায়।

পৌর শহরের তারাগন এলাকার মো. আলম খাঁ বলেন এ মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে ধান আবাদ করা হবে। ইতিমধ্যে তিনি হাল চাষ, সেচপানি দিয়ে ধান আবাদ করতে জমি প্রস্তুুত করেছেন। তিনি আশা করছেন এক সপ্তাহের মধ্যে জমিগুলোতে চারা রোপনের কাজ শেষ হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম বলেন, শীতের কারনে বোরো আবাদ পিছিয়ে নেই। স্থানীয় কৃষকরা পুরোদমে বোরো ধান আবাদ শুরু করেছেন। শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া অনুকুলে এবং সেচ ব্যবস্থা ঠিকমতো ভাল থাকলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!