মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে স্বামী হারালেন আটদিনের নববধূ  

ভোলা: আটদিন আগে বিয়ে হয়েছে সোহাগ-সাথীর। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) একসাথে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন এই নবদম্পতি। কিন্তু একসাথে আর বাড়ি ফেরা হলো না। রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার মুচিরপুল এলাকার ভোলা-চরফ‌্যাশন হাইওয়ে সড়কে নছিমনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ প্রাণ হারিয়েছেন সোহাগ। নববধূ সাথী গুরুতর আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।  

নিহত সোহাগ বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবু তাহেরের ছেলে। তার স্ত্রী আহত সাথী মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী এলাকার মিলন ব্যাপারীর মেয়ে। 

স্থানীয় বাসিন্দা মো. মিজান উদ্দিন কাজী জানান, আটদিন আগে মুন্সিগঞ্জের মেয়ে সাথীর সাথে সোহাগের বিয়ে হয়। শুক্রবার এই নবদম্পতি মোটরসাইকেলে বোরহানউদ্দিনে ঘুরতে যান। সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিনের একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে টবগী ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে ফেরার পথে আবুল বাজারে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী নছিমনের সাথে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সোহাগ মারা যায়। গুরুতর আহত সাথীকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাইদুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবুল বাজারে একটি দ্রুতগামী জাটকাবোঝাই নছিমনের সাথে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সোহাগের মৃত‌্যু হয়। তার স্ত্রী গুরুতর আহত হন। 

বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই সোহাগ মারা যায়। তার স্ত্রী সাথী মারাত্মক আহত হওয়ায় তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

নিহতের শ্বশুর মিলন ব্যাপারী জানান, তার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানায়। আটদিন আগে তার মেয়ে সাথীর সাথে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার সোহাগের বিয়ে হয়। একটি দুর্ঘটনায় সব শেষ হয়ে গেল। তার মেয়ে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় আছে। 

বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহারুল আমিন বলেন, ভোলা-চরফ‌্যাশন হাইওয়ে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে সোহাগ নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একটি নছিমন আটক করা হয়েছে। নসিমন চালক পালিয়ে গেছেন। চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/এইচএন