• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে পেটালেন এসআই


বগুড়া প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২১, ০৮:৪৯ পিএম
ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে পেটালেন এসআই

সংগৃহীত

বগুড়া : কেন্দ্রে হাতকড়া পরিয়ে একটি কক্ষে ছাত্রলীগ নেতাকে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক ঘণ্টা পর তাকে ছেড়েও দেয়া হয়। বগুড়া পৌরসভার নির্বাচন চলাকালে শহরের বগুড়া কলেজ কেন্দ্রে হাতকড়া পরনো ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মুকুল হোসেন। 

তিনি জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক। তাকে আটকে রাখার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

জানা গেছে, দুপুরে ভোট চলাকালে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়ায় পুলিশের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয় মুকুল হোসেনের। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগের ওই নেতাকে হাতকড়া পরিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনেই পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম বেধড়ক মারধর করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর একটার দিকে ওই ভোটকেন্দ্রে মেয়র পদে নৌকার এজেন্ট হিসেবে থাকা আওয়ামী লীগ কর্মীদের জন্য প্যাকেট খাবার সরবরাহ করছিলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। একপর্যায়ে প্যাকেট ঘাটতি পড়ায় তিনি কেন্দ্রের বাইরে থেকে আরও কিছু খাবার নিয়ে দ্বিতীয় দফা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে যাচ্ছিলেন। এসময় ভোটকেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ধুনট থানার এসআই রফিকুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ওই নেতাকে বাধা দেন। এ নিয়ে নৌকার কর্মী ছাত্রলীগ নেতা মুকুল হোসেন পুলিশের ওই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন।

মুকুল হোসেন অভিযোগ করেন, নৌকার এজেন্টদের জন্য খাবার নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশের এসআই রফিকুল ইসলাম অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি ফোন কেড়ে নেন। কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে হাতকড়া পরিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে নেন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনেই তিনিসহ আরও একজন কনস্টেবল তাকে বেধড়ক মারধর করেন।

বগুড়া কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল মালিক বলেন, ওই যুবককে কেন আটক করা হয়েছে এবং হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে, তা তিনি জানেন না। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ কোনো অনুমতি নেয়নি।

ঘটনা প্রসঙ্গে এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ মুকুল হোসেনকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, বিষয়টি জানার পর ছাত্রলীগের ওই নেতাকে তিনি ছেড়ে দিতে বলেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!