• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়াবহ পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রণে চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন


চট্টগ্রাম প্রতিনিধি এপ্রিল ৭, ২০২১, ১০:২৩ পিএম
ভয়াবহ পরিস্থিতি, নিয়ন্ত্রণে চসিকের ৫০ শয্যার আইসোলেশন

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আইসোলেশন সেন্টারে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে সামাজিক ও মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে সেবা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় লালদীঘি পাড় সিটি কর্পোরেশন পাবলিক লাইব্রেরি ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় গড়ে তোলা ৫০ শয্যাার আইসোলেশন সেন্টার উদ্বোধনকালে তিনি এই আহবান জানান। আইসোলেশন সেন্টারের শয্যাগুলোর মধ্যে ৩৫টি পুরুষ এবং ১৫টি নারীর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা সম্প্রসারিত হবে এবং চিকিৎসক ও জনবল বাড়ানো হবে। আরো কয়েকটি আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আবু হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্ত ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। সঞ্চালনা করেন ডা. মোহাম্মদ আলী।

মেয়র বলেন, নগরবাসীকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো সহায়তা ও পরামর্শ দিতে চালু রাখা হচ্ছে হটলাইন। জরুরি রোগী পরিবহনে প্রস্তুত রাখা হয়েছে অক্সিজেন সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।

রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সংক্রমণের দ্রুত বিস্তার সত্ত্বেও দিশেহারা হওয়া বা মনোবল হারানোর অবকাশ নেই। করোনার প্রথম থাবায় অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্ব ও দূরদর্শিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব হয়েছিল। অনেক উন্নত দেশের আগেই এ দেশে করোনা প্রতিরোধক টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হয়। ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। এই সাফল্য ও অর্জন আশা জাগানিয়া। আমাদের মনে-প্রাণে এই বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমরা কখনো জীবন ও জীবিকার ছন্দ হারাব না। আমরা যুদ্ধে বিজয়ী জাতি, তাই করোনা যুদ্ধেও কিছুতে হারতে পারি না।

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ অতি দ্রুত হারে বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের চিকিৎসাসেবা কেন্দ্রগুলোতে ঠাঁই নেই অবস্থা। এই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ও অস্বস্তিকর। উদ্ভূত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় আইসোলেশন সেন্টারের যাত্রা শুরু হলো জীবন ছন্দে ফিরে যাওয়ার প্রত্যাশা ও অঙ্গীকার পূরণের স্বপ্ন নিয়ে।

আইসোলেশন সেন্টারে গতকাল কোনো রোগী ভর্তি হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেন্টারটির কো-অর্ডিনেটর চসিকের আরবান হেলথ প্রকল্প পিএ-১ এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ডা. মো. মুজিবুল আলম চৌধুরী বলেন, আজ পদায়ন করা চিকিৎসকদের রোস্টারসহ কিছু কার্যক্রম বাকি ছিল। সেগুলো সম্পন্ন করেছি। আগামীকাল (আজ) থেকে পুরোদমে চালু করা হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!