• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শারীরিক সম্পর্কে জোর করায় স্বামীকে মেরে ফেললেন ১৭ দিনের নববধূ


রাজশাহী এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০৯:২৯ পিএম
শারীরিক সম্পর্কে জোর করায় স্বামীকে মেরে ফেললেন ১৭ দিনের নববধূ

রাজশাহী: কিশোরী বধূ অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী (১৫)। তার ইচ্ছের বিরুদ্ধেই বিয়ে দেয়া হয় ২৮ বছরের যুবক হারুন অর রশিদের সঙ্গে। স্বামীকে পছন্দ না হওয়ায় হয়নি শারীরিক সম্পর্ক। পরে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাওয়ায় কৌশলে স্বামীর হাত বেঁধে স্বামীকেই হত্যা করে বসেন কিশোরী বধূ। পরে তাকে আটকের পর আদালতে দিয়েছেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও। ঘটনাটি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা গ্রামের।

মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম জানান, মাত্র ১৭ দিন আগে জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা গ্রামের বয়জুল মন্ডলের ছেলে হারুন অর রশিদের সঙ্গে একই ওই কিশোরীর বিয়ে হয়। কিন্তু এই বিয়েতে তার মত ছিলো না। স্বামীকেও সে পছন্দ করেনি। তাই বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে সে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি। গত মঙ্গলবার ভোরে স্ত্রীর সঙ্গে শারিরিক সম্পর্ক করতে চান হারুন। এসময় ওই কিশোরী রাজি না হলে তাকে চড় থাপ্পর মারে হারুন। পরে ওই কিশোরী শর্ত দেয় শারীরিক সম্পর্ক করতে হলে হারুনের হাত বাঁধতে হবে। 

তিনি বলেন, স্ত্রীর শর্তে হারুন রাজি হন। তখন ওই কিশোরী দড়ি দিয়ে স্বামীর হাত বেঁধে দেয়। পরে সে স্বামীর গলায় আরেকটি দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে টানতে থাকে। এক পর্যায়ে হারুন অচেতন হয়ে পড়ে। এরই মধ্যে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ডাকতে থাকে। কিন্তু এসময় ব্যাগ গুছিয়ে ওই কিশোরী পালানোর চেষ্টা করে। পরে হারুনকে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ওই কিশোরী আদালতে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে এই বক্তব্য দিয়েছে। বুধবার রাজশাহীর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারকের কাছে ওই কিশোরী জবানবন্দি দেয়। বিচারক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।’

তিনি আরো বলেন, কিশোরীর বয়স ১৫ বছর। তবে বিয়েতে ১৮ দেখানো হয়েছে। এঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে চার্জশিটের সময় মেয়েটির প্রকৃত বয়স উল্লেখ করা হবে। তখন মেয়েটিকে কিশোর অপরাধের দায়ে কিশোরী সংশোধনাগারে রাখা হবে।’

Wordbridge School
Link copied!