• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে সোনালী হাসি


রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি এপ্রিল ২৩, ২০২১, ০২:২৯ পিএম
বোরো ধানের বাম্পার ফলন, কৃষকের মুখে সোনালী হাসি

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষক-কৃষাণীদের মুখে সোনালী হাসি ফুটেছে। তপ্ত রোদে কৃষকের ঘাম জরানো পরিশ্রমে ফলানো ধানের মাঠ। হালকা বাতাসে সোনালী রঙের ধানের শীষগুলো দোল খাচ্ছে। দূর থেকে দেখে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে। চলতি মৌসুমে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূ্েত্র জানা যায়। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চারগুন বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৩২ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারমধ্যে হাইব্রিড ১২ হেক্টর ও উফশী ৩২০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়। এতে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫ মে.টন হারে উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ মে.টন (১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার কেজি) বোরো ধান। কৃষি বিভাগের হিসেব অনুযায়ী প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকা দরে বিক্রি হলে ৪ কোটি ৩১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশাবাদী তারা। এদিকে কৃষকরা উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও দেশে চলমান কঠোর ‘লকডাউন’ কারণে কৃষকের হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি সঠিক সময়ে ৭০ শতাংশ চাষী গোলায় ধান তুলেছেন। কিন্তু লকডাউনের কারণে বাজারজাত করা যাচ্ছে না। নির্ধারিত সময়ে বাজারজাত না হলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।

বোরো চাষী মো. মজিবুর রহমান মিন্টু বলেন, কৃষি অফিস থেকে বোরো ধান চাষে উদ্ভূত করে বোরো প্রণোদনা বীজ ও সার দেওয়া হয়। এতে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ কানি জমিতে বোরো আবাদ করি। লকডাউন ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাভবান হওয়ার আশা রাখি।

চরমোন্তাজ ইউনিয়নের বোরো চাষী জাহাঙ্গীর গাজী জানান, গত বছরে বোরো আবাদ করে অনেকে লাভবান হয়েছে । তাদেখে এবছর কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে ২ কানি জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছি। বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সংকটে পড়েছি। তারপরেও আশানরুপ ভাল ফলন হয়েছে। বাজারদর ভাল পেলে লাভবান হবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারের নির্দেশনায় বিনামূল্যে চার শতাধিক কৃষকের মাঝে বোরো প্রণোদনা বীজ ও সার বিতরণ করেছি। যে কারণে আগের তুলনায় চলতি বছরে বোরো আবাদে অনেক চাষী ঝুঁকেছে। দেশে চলমান লকডাউনের ফলে ব্যাপারীরা ধান ক্রয় করতে আসছে না । যার ফলে কৃষকের একটু সম্যসা হচ্ছে । তারা ধৈর্য্য ধরে বিক্রি করলে অধিক মূল্যে বিক্রি করে লাভবান হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!