• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লোকসানের প্রহর গুণছেন গরুর খামারীরা


সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি জুলাই ১২, ২০২১, ০৩:৫১ পিএম
লোকসানের প্রহর গুণছেন গরুর খামারীরা

জামালপুর : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে মুনাফা লাভের আশায় পরম যত্নে পশু লালন-পালন করলেও লকডাউনের কারণে মাথায় হাত পড়েছে গরু খামারিদের। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই শঙ্কা ঘিরে ধরছে খামারিদের। লকডাউনের পশুর হাটে ক্রেতা না  থাকায় সঠিক মূল্য না পাওয়া নিয়ে চিন্তায় প্রহর কাটছে খামারিদের। বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছে তারা।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ৬২০ টি খামারে ৩ হাজার ৭৫০টি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়। এর মধ্যে গরু ২ হাজার ৯৫০টি ছাগল ৬০০ ও ভেড়া রয়েছে ২ শতাধিক। এসব পশু লকডাউনের কারণে হাট বাজারে নিতে পারেছে না খামারিরা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এ সময়টা উপজেলার বিভিন্ন পশুর হাটবাজারে থাকে ক্রেতার আনাগোনা। কিন্তু করোনায় লকডাউনে পশুর হাট কিছুটা  চললেও ক্রেতার  দেখা না পাওয়ায় বিরাট লোকসানের শষ্কায় আছেন খামারিরা। ন্যায্য দাম না পেলে পথে বসতে হবে তাদের।  

মাশআল্লা ডেইরী ফার্মের শ্রমিক সাইফুল ইসলাম ও সাগর মিয়া জানান, আমার খামার মালিক  ঈদকে সামনে রেখে শতাধিক গরু মোটাতাজা করেছেন। লকডাউনের কারণে গরু হাটে নেওয়া যাচ্ছে না।  মালিকের অনেক টাকা লোকসানে  সম্ভাবনা রয়েছে।

খামার মালিক আলহাজ আব্দুল লতিফ খান জানান, আমি ৫২ বছর সৌদিআরব ছিলাম নয় বছর আগে দেশে এসে  ১০৫ একর জমি লিজ নিয়ে গরুর খামার করেছি। ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করন করা হয়েছে। লকডাউনের কারণে গরুহাট বন্ধ। খামারে কোন বেপারি আসছে না। গরু বিক্র না করতে পারলে বড় ধরনের লোকসান হবে। তাই সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করেন তারা।

 সরিষাবাড়ী উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন  মো. আতিকুর রহমান বলেন, ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ৬২০টি খামারি ৩ হাজার ৭৫০টি পশু মোটা তাজা করন করা। করোনা কালিন লকডাউনের ফলে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অনলাইন প্লাটর্ফম চালু করা হয়েছে।

খামারিদের দিক বিবেচনা করে তাদের লোকসান পুষাতে সরকারি সহায়তা কামনা করছেন খামারিরা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!