• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মায় ভেসে গেলো ৩ পরিবারের বসতঘর


মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জুলাই ৩০, ২০২১, ০৯:১৭ পিএম
পদ্মায় ভেসে গেলো ৩ পরিবারের বসতঘর

মুন্সীগঞ্জ  : মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে চোখের পলকে ৩ পরিবারের বসতঘর পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পদ্মা নদী সংগ্লগ্ন পূর্ব হাসাইল গ্রামে ৩টি পরিবারের টিন ও কাঠ দিয়ে নির্মিত বসত ঘরগুলো চোখের পলকে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় একই স্থানের ৬টি ঘর অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ওই এলাকায় বিগত কয়েকদিন যাবৎ একেবারে ধীরগতিতে পদ্মা নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। কিন্তু শুক্রবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে তিব্র আকারে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙ্গন শুরুর অল্প সময়ের মধ্যে নদী-সংলগ্ন কয়েকশ মিটার এলাকার জমি ও ৩টি বসত ঘর পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় ওই একই স্থানের আরো

পদ্মার ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে ওই স্থানের দাতারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ স্থানীয় শত শত পরিবারের বসতভিটা, মসজিদ, কবরস্থানসহ নানা স্থাপনা। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুতঙ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোতে কয়েক ঘণ্টায় ভাঙন কয়েকশ মিটার এলাকায় ছড়িয়ে পরে। এ সময় ওই এলাকার আলম শেখ, জিয়াসমিন ও খোরশেদ আলমের ৩টি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এ সময় ওই স্থানের নুর মোহাম্মদ দেওয়ানেরসহ মোট ৬ টি পরিবারের বসতঘর অন্যত্র সড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত আলম শেখ বলেন , হঠাৎ করে নদীতে ভাঙন দেখা দিলে লোকজন ডেকে এনে তিনটি বসতঘরের মধ্যে কয়েকটি ঘরের অংশ কোনো রকমে উঠাতে পেরেছি বাকি সব নদী নিয়ে গেছে।

জিয়াসমিন বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই। ঢাকায় কাজ করি দেশে চার সন্তান নিয়ে একটি ঘরে থাকি। গতকাল আসছি ঢাকা থেকে। আজকে আমার ঘর নদী নিয়ে গেলো।

ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ খোরশেদ আলমের বলেন, এত দ্রুত ভাঙন শুরু হলো ঘরের চালের ড্রামটাও বের করতে পারিনি। সব নদীতে তলিয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী বাবু মিয়া বলেন, হঠাৎ করে নদীতে ভাঙ্গন দেখা দিলে ৩টি পরিবারের বসতঘর নদীতে ভেঙ্গে গেছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে চোখের পলকে তলিয়ে গেলো ঘরগুলো।

এ ব্যাপারে হাসাইল বানারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হালদার বলেন, হঠাৎ করে পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দিলে নিমেষেই নদীতে ২ টি ঘর বিলিন হয়ে গেছে। ৬ টি ঘর অন্যত্র সড়িয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভাঙ্গনের বিষয়ে উদ্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে নদী ভাঙনের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ভাঙন সংগ্লগ্ন এলাকার আশপাশের লোকজন ও বসতঘর সরিয়ে নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!