• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

টিকা না দিয়ে কেবল সুঁই পুশ, শাস্তি পচ্ছেন সেই স্বাস্থ্যকর্মী


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ২, ২০২১, ০৮:৫০ পিএম
টিকা না দিয়ে কেবল সুঁই পুশ, শাস্তি পচ্ছেন সেই স্বাস্থ্যকর্মী

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ২০ ব্যক্তির শরীরে করোনা টিকার ডোজ না দিয়ে কেবল সুঁই প্রবেশ করানোর অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা বলছেন, এ সময় টিকা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মী সিরিঞ্জে টিকার ডোজ (তরল টিকা) ঠিকই নিয়েছেন কিন্তু তাদের শরীরে তা পুশ করেননি। পুশ করা হয়েছে বলে তিনি টিকার ডোজসহ সিরিঞ্জ ফেলে দেন। গতকাল রোববার দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে।

যে টিকা প্রদানকারীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে তার নাম সাজেদা আফরিন, তিনি ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। এ ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহকা‌রী সি‌ভিল সার্জন‌কে প্রধান ক‌রে তিন সদস্যবি‌শিষ্ট তদন্ত ক‌মি‌টি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

প্রতিবেদন ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।

জানা গেছে, রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ নম্বর বুথে নিবন্ধনকারীদের করোনার টিকা প্রদান করছিলেন হাসপাতা‌লের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন। তিনি টিকাগ্রহণকারীদের অনেকের শরীরে সুঁই প্রবেশ করিয়ে একটু পর আবার বের করে ফেলছিলেন, সিরিঞ্জে থাকা টিকার ডোজ পুশ করছিলেন না। পরে টিকার ডোজসহ সিরিঞ্জ ফেলে দিচ্ছিলেন।

এ সময় ঘটনা‌টি এক যুবকের নজরে আসে। তিনি এ ব্যাপারে উপস্থিত সবার সঙ্গে কথা বললে সেখানে হৈচৈ শুরু হয়। প‌রে হাসপাতা‌লের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শামিমকে জানানো হলে তিনি পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বাছাই করে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনের উপস্থিতি দেখতে পান। তিনি নিশ্চিত হন এই ২০টির ক্ষেত্রে সুঁই প্রবেশ করা হলেও ভ্যাকসিন শরীরে প্রবেশ করানো হয়নি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন বলেন, হাসপাতা‌লে অ‌নেক মানুষজন টিকা নি‌তে আসায় সেখা‌নে অ‌নেক চাপ ছিল। এতে অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ঘটে গেছে!

তদন্ত কমিটির প্রধান মো. শামীম হুসাইন চৌধুরী জানান, তদন্ত করে তারা ভ্যাকসিন পুশ না করেই সিরিঞ্জ ফেলে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। অভিযুক্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিজেও লিখিতভাবে ভ্যাকসিন পুশ না করে সিরিঞ্জ ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তার নিজের অসুস্থতা এবং ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের চাপ বেশি থাকায় এমনটি হয়েছে বলে ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, প্রতিবেদনটি ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!