কুমিল্লা : বারোমাসি ব্ল্যাকবেরী ও হলুদ তরমুজ চাষের পর এবার মরুভূমির ফল সাম্মাম চাষে সফল হয়েছেন কৃষক আনোয়ার হোসেন। দেখতে গোল ও ধূসর রংয়ের। ভেতরে হলুদ লাল। খেতে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। সাম্মাম মরুর দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।
সাম্মাম এদেশে রক মেলন, সুইট মেলন, মাস্ক মেলন, হানি ডিউ নামেও পরিচিত। এই ফল দুই ধরনের হয়। হলুদ মসৃণ আবৃত চামড়ার ভেতরের অংশ একদম আমাদের দেশের বাঙ্গী এর মত অন্যটি চামড়ার অংশ খশখশে এবং চামড়ার ভেতরে অংশে হালকা হলুদ এবং বাদামি বর্ণের।
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বলারামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন। ৪০ শতক জমিতে চাষ করেছেন সাম্মাম ফল। প্রথম বছরেই ভালো ফলন হয়েছে।
সরেজমিনে বলারামপুর আনোয়ার হোসেনের সাম্মাম বাগান ঘুরে দেখা যায়, মাচার ঝুলে আছে ছোট বড় হাজারো সাম্মাম। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে গাছগুলো নেতিয়ে রয়েছে। জমির চারপাশে ড্রেন তৈরী করা আছে যেন বৃষ্টির পানি তাড়াতাড়ি নেমে যায়।
কৃষক আনোয়ার জানায়, মূলত ইউটিউব দেখেই সাম্মাম চাষ করেন। এতে অনেক প্রবাসী তাকে উৎসাহিত করে। ইউটিউবের তথ্য ও প্রবাসীরদের উৎসাহে আনোয়ার তার ৪০ শতক জমিতে সাম্মাম চাষ করেন। বীজ, সার, শ্রমিকের মজুরিসহ খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ টাকা। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে সব খরচ বাদ দিয়ে দেড় লাখ টাকা মুনাফা হবে।
কুমিল্লা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান জানান, সাম্মাম মরুভূমির ফল হলেও কুমিল্লার আবহাওয়া ও মাটি এ ফল উৎপাদনে সহায়ক। কুমিল্লা আনোয়ার হোসেনসহ আরেকজন কৃষক সাম্মাম চাষ করেছে। সাম্মাম চাষে চাষীদের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :