• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো আরো দুটি মৃত ডলফিন


কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি আগস্ট ১০, ২০২১, ০২:৩৭ পিএম
কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো আরো দুটি মৃত ডলফিন

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে আরো দৃইটি মৃত ডলফিন।

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে সাগরের জোয়ারে ডলফিন দুটি ভেসে এসে সৈকতের পশ্চিমের সানসেট পয়েন্টের বালুচরে আটকে পড়ে। ভেসে আসা ডলফিন দুটির একটি হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির অপরটি ইয়াবতি প্রজাতির।

প্রায় ছয় থেকে সাত ফুট লম্বা মৃত ডলফিন দুটির ঠোঁট ও গায়ে জাল পেঁচানো ছিল এবং রক্ত ঝরছিলো।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুরে কুয়াকাটা সৈকতের বর্জ্য পরিস্কার করতে আসা একটি সেচ্ছাসেবী  সংগঠনের সদস্যরা সৈকতে গেল মৃত অবস্থায় ডলফিন দুটি দেখতে পায়।

ডলফিন দুটি জাল পেঁচানো ছিলো। সমুদ্রের স্তন্যপায়ী এ প্রানীরা গভীর সমুদ্র থেকে নিশ্বাস নিতে সাগরের উপরের অংশে উঠে আসার সময় সাগরে মাছ ধরার জালে হয়তো আটকা পড়ে। তাই জেলেরা জাল কেটে ডলফিন দুটিকে সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে বলে ধারনা করছেন তারা।

গত ৭ আগস্ট সৈকতে হ্যাম্পব্যাক প্রজাতির আরো একটি মৃত ডলফিন ভেসে আসে। আজ ভেসে আসা দুটিসহ তিনটি ডলফিনই ময়নাতদন্ত ছাড়া সৈকতে মাটি চাপা দেওয়ায় এর মৃত্যুর কারন অজানাই থেকে গেলো।

এর আগেও, কুয়াকাটা সৈকতে একাধিক মৃত ডলফিন, তিমি ও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির কচ্ছপ সাগরের জোয়ারে ভেসে আসে। তবে এগুলো মৃত্যুর সঠিক কারণ কখনই জানা যায়নি।

মৎস্য গবেষকদের মতে, কুয়াকাটা সংলগ্ন  বঙ্গোপসাগরে সাধারণত দুই প্রজাতির ডলফিন পাওয়া যায়। একটি হলো বটল নোজ (বোতলের মতো মুখ) এবং আরেকটি হলো হাম্পব্যাক ডলফিন (পিঠের দিকটা সামান্য ভাঁজ ও কুঁজো)। কুয়াকাটা সৈকতে আজ ভেসে আসা মৃত দুটি ডলফিন হলো হাম্পব্যাক ডলফিন ও ইরাবতি । ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের অগভীর অঞ্চলে এই প্রজাতির ডলফিনের আধিক্য লক্ষ করা যায়। এর পিঠের অংশ সামান্য উঁচু, তাই একে কুঁজো ডলফিন বা Humpback বলা হয়। এর সামনের চোয়াল বেশ লম্বা এবং ৩০-৩৪টি দাঁত যুক্ত। আর ইরাবতি ডলফিন পাওয়া যায় মূলত মায়ানমারের ইরাবতি নদীতে।

কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন,ডলফিন শিকার এবং বিক্রি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কুয়াকাটায় কেন এতো মৃত ডলফিন ভেসে আসছে তা তাদেরও ভাবিয়ে তুলছে। বিষয়টি  জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে।

কুয়াকাটায় জীববৈচিত্র নিয়ে কাজ করা ইকোফিস-২ প্রকল্পের পটুয়াখালীর সহকারী গবেষক সাগরিকা স্সৃতি বলেন, সামুদ্রিক জীবৈচিত্র রক্ষায় ডলফিন সমুদ্রে ইকো সিস্টেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ডলফিন মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে এখনই গবেষণা প্রয়োজন বলে জানান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!