• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুয়াকাটায় আজও ভেসে এলো মৃত ডলফিন


কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি আগস্ট ২১, ২০২১, ০৮:০৬ পিএম
কুয়াকাটায় আজও ভেসে এলো মৃত ডলফিন

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন পশ্চিমের  সৈকতে শনিবার আরো একটি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। প্রায় সাত ফুট লম্বা মৃত ডলফিনটি ইরাবতী প্রজাতির। কুয়াকাটা ব্লুগার্ড সদস্যরা ডলফিনটি উদ্ধার করে। মৃত ডলফিন কয়েকদিন আগে মারা যাওয়ায় তার শরীরে পঁচন ধরেছে।

এর আগে, গত শুক্রবার কুয়াকাটা সংলগ্ন কাউয়ার চর ও ঝাউ বাগান সৈকতে ভেসে আসে বটল নোজ প্রজাতির আরও দুটি ডলফিন। এ নিয়ে এ বর্ষা মৌসুমে কুয়াকাটায় নয়টি মৃত ডলফিন ভেসে এসেছে। যেগুলো কোনো ধরণের ময়নাতদন্ত ছাড়াই সৈকতেই মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া এর আগে, মৃত তিমি, কচ্ছপসহ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির রাজ কাঁকড়া ভেসে এলেও সেগুলোও সংরক্ষণ করা না হওয়ায় সমুদ্রে এতো ডলফিন মারা যাওয়ার সঠিক কারণ এখনও অজানাই রয়ে গেছে।

কলাপাড়ার পরিবেশ কর্মী কামাল হোসেন রনি ও কে এম বাচ্চু বলেন, সৈকতে মৃত ডলফিন ভেসে আসে, সেগুলো সৈকতেই মাটি চাপা দেয়ায় জোয়ারের পানিতে বালু ক্ষয়ে মৃত প্রানীগুলো সাগরে ভেসে যাওয়ায় আরো বেশি দূষণ হচ্ছে পরিবেশ ও পানি।

কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, সাগরে এতো বেশি এর আগে ডলফিন মারা যায়নি। এগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে এখনই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। একই সাথে জেলেদের সচেতন করতে পারলে মৃত্যুর হার কিছুটা কমবে।

পরিবেশ কর্মীরা ধারণা করছেন, সাগরে মাছ শিকার জেলে ট্রলারের জালে আটকে বা ট্রলির আঘাতে এ ডলফিন গুলো মারা যেতে পারে। এভাবে সমুদ্রে ডলফিন মারা যাওয়ার তাদের বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে। মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে মৎস্য বিভাগকে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কারণ সামুদ্রিক এ বন্ধু প্রাণীগুলো মারা পড়লে সমুদ্রে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।

পটুয়াখালী ইকোফিস-২ প্রকল্পের সহকারী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি জানান, গত দুই দিনে সৈকতে ভেসে আসা তিনটি ডলফিনের দুটি বটল নোজ ও একটি ইরাবতী প্রজাতির। এগুলো ভেসে খবর প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ডলফিন মারা যাওয়ার বিষয়টি জেলা ও বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ভেসে আসা মৃত ডলফিনগুলো চার-পাঁচদিন আগে মারা যাওয়ায় মৃতদেহগুলো পঁচে যাওয়ায় তাদের সক্ষমতা না থাকায় সেগুলো মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!