দিনভর বৃষ্টি, প্লাবিত সাত গ্রাম

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দিনভর ভারি বৃষ্টিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছো চাড়িপাড়া ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন সহস্রাধিক পরিবার। রোববার ভারি বর্ষণের সাথে রাবনাবাদ নদীর উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে চাড়িপাড়া ভাঙ্গা বাঁধের অন্তত ৫০ মিটার বাঁধ নতুন করে ভেঙ্গেছে। এ বাঁধটি গত দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় সাত কিলোমিটার অংশ ভেঙ্গে সংস্কারের অভাবে পড়ে ছিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানালেও বাঁধ মেরামতে তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে রাবনাবাদ নদীর উত্তাল ঢেউ ও ঝড়ো বাতাসে ভেঙ্গে পড়েছে একাধিক গাছপালা। লাল্য়ুার বুড়াজালিয়া অংশের এ ভাঙ্গা বাঁধের কারণে রোববারর সকালের জলোচ্ছাসে এক গ্রাম থেকে অন্যগ্রামে যাওয়ার বাশের সাঁকোটিও পানির স্রোতে ভেসে গেছো। এতে বন্ধ হয়ে গেছে সব ধরনের যোগাযোগ। সাঁকো ভেঙ্গে পড়ায় বেশি সমস্যায় পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। সকালের জোয়ারে সাঁকোটি ভালো থাকলেও দুপুরে তা ভেঙ্গে উল্টে গেছে। এ কারণে খাল, নালা পার করতে হবে ওই শিক্ষার্থীদের সাঁতার কেটে।

এদিকে ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় বাঁধ সংলগ্ন কয়েকশ পরিবার পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। এসব পরিবার দুপুরে কোথ্য়া রান্না করবে এ নিয়ে চিন্তিত। তবে এসব দূর্গত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসছে না কোন জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন।

স্থানীয়রা মো. ফিরোজ. আলমগীর হোসেন জানান, নদীতে পানি বাড়লেই তাদের ঘর বাড়ি তলিয়ে যায়। আর এখন তো শেষ সম্বল বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ। রাতের জোয়ারে কোথায় থাকবো তা ঠিক নেই।

লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস জানান, এভাবে বছরের পর বছর ধরে হাজারো মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। কিন্তু ভাঙ্গা বাঁধ আর মেরামত হয় না।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, যখনই কোন সরকারি সহায়তা আসে লালুয়ার মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হয়। আর ভাঙ্গা বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই