• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
ইউপি নির্বাচন

কক্সবাজারে ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, নিহত ২


কক্সবাজার প্রতিনিধি সেপ্টেম্বর ২০, ২০২১, ১২:১৬ পিএম
কক্সবাজারে  ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি, নিহত ২

ছবি : সংগৃহীত

কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে ও কুতুবদিয়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোট চলাকালে এসব ঘটনা ঘটে। 

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে কুতুবজোম ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম পাড়ায় জামিয়ুসসুন্নাহ দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। এতে গোলাগুলি ঘটনায় আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 

ঘটনার পরপরই ওই কেন্দ্র এবং পার্শ্ববর্তী কুতুবজোম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।

জানা গেছে, আবুল কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থক।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন তারা। দুটি কেন্দ্রই পাশাপাশি। আপাতত ওই দুই কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের মধ্যে আবুল কালাম নামে একজনের অবস্থা আশংকাজনক। আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শেখ কামাল জানান, ৫ নং ওয়ার্ড জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে সকাল থেকে সুশৃঙ্খল ভাবে ভোটগ্রহণ চলছিল। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থকরা হঠাৎ ধারালো ছুরি নিয়ে কেন্দ্রে ঢুকে দুজনকে ছুরিকাঘাত করে। এরপরই পরিকল্পিতভাবে গুলি করে তারা। এ ঘটনায় আহতরা নৌকা প্রতীকের সমর্থক কর্মী বলেও দাবি করেন তিনি।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর করা অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকন বলেন, ‘বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিচ্ছে শেখ কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী, এমন খবর পেয়ে ভোটার ও তার সমর্থকরা ৪ নং ওয়ার্ডের কেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর ক্যাডাররা গুলি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ নং ওয়ার্ডের জামিয়ুস সুন্নাহ দারুল উলুম মাদরাসা কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্যপ্রার্থী ফুটবল প্রতীকের ফরিদুল আলম ও টিউবওয়েল প্রতীকের জহিরুল ইসলামের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানেও আমার লোকজন হামলা করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শ্রাবস্তী রায় ও কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

মো. হাসানুজ্জামান জানান, দুটি কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার ফলে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড়ের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

আবদুল হালিম বড়ঘোপ ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭ নং ওয়ার্ড় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের গুলিতে আবদুল হালিম আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওমর হায়দার ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টাকালে আবদুল হালিম নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। নিহত ব্যক্তি নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক বলে জানান তিনি।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!