• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
রবিশষ্য আবাদ নিয়ে শঙ্কায় এলাকার কৃষকরা

সরকারি জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার


গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি অক্টোবর ৯, ২০২১, ০২:৪৭ পিএম
সরকারি জলাশয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার

নাটোর : নাটোরের গুরুদাসপুরের চলনালী বিলের পাঁচ কিলোমিটারের একটি সরকারি জলাশয় দখল করে মাছ শিকার করছেন স্থানীয় মসজিদ কমিটি। মাছ শিকারের জন্য বিলের পানি নিস্কাশনের উৎস্য মুখে এবং জলাশয়ের বিভিন্ন জায়গায় বাশের বাঁধ দেয়া হয়েছে। ফলে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রবিশষ্য আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ওই এলাকার কৃষকেরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুরের নারী বাড়ি উত্তর পড়ার কান্টাগাড়ি বিলের বুকচিরে চলনালী, কান্দিপাড়া হয়ে চরকাদহ বিলে গিয়ে মিশেছে ওই জলাশয়। এই জলাশয়ের পানিতেই চলনালী-কান্দিপাড়া, কান্টাগাড়ি, পাটপাড়া, সোনাবাজু, চাকলের বিলের রবিশষ্য আবাদের চাষাবাদ করা হয়। আবার বর্ষার পানিও ওই জলাশয় দিয়েই নিস্কাশন হয়ে থাকে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি ওই জলাশয়ে বাঁশের বাধ দিয়ে চলনালী বিল উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যেমে বিক্রি করা হয়। ডাকের ওই টাকা মসজিদের উন্নয়নে ব্যবহার করার কথা বলছে মসজিদ কমিটি। এবছর স্থানীয় দুলাল নামের এক ব্যাক্তি দুই লাখ টাকায় চলনালি বিল ও সরকারি জলাশয় ডেকে নিয়ে পূর্বপাড়ায় বিলের উৎস্যমুখে বাঁশের বাধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন।

স্থানীয় কৃষক আবুল মিয়া, মাহবুর, মোজাফ্ফরসহ অন্তত দশজন অভিযোগ করেন, প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলনালী বিল ডেকে নিয়ে মাছ শিকার করেন চরকাদহ মসজিদ কমিটি। বিলের উৎসুখে বাঁশের বাধ দেওয়ায় পানি নামতে দেরি হচ্ছে। একারণে রবিশষ্য চাষাবাদের জন্য তারা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। মসজিদ কমিটিতে উচ্চ পদস্থ এক কর্মকর্তার ভাই থাকায় ওই ডাকের বিরুদ্ধে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছেন না।

চরকাদহ মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিল ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করে মসজিদ কমিটি। তাছাড়া সরকারি ওই জলাশয়ে বা বিলে গ্রামের মানুষ এক সাথে মাছ শিকার করতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। একারণে বর্তমান কমিটিও সামাজিক ভাবে বিলটি উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করেছে।

চলনালী গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ মুনসুর রহমান মিন্টু জানান, চলনালী বিল এবং সরকারি জলাশয়টি চলনালী মৌজাতে হলেও চরকাদহ মসজিদ কমিটি অবৈধ ভাবে ডাকের মাধ্যমে বাধ দিয়ে মাছ শিকার করেন। এনিয়ে ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে চলনালী গ্রামের কৃষকরা অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিন বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি মসজিদ ভিত্তিক হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবুও খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গুরুদাসপুরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আবু রাসেল জানান, কোন বিল বা সরকারি জলাশয় ডাকের অধিকার কারো নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!