• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরছেন


কক্সবাজার প্রতিনিধি অক্টোবর ১৯, ২০২১, ০৫:১৫ পিএম
সেন্টমার্টিনে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরছেন

কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় দুইদিন ধরে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকে থাকা তিন শতাধিক পর্যটক অবশেষে টেকনাফে ফিরেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) সকালে ১৪টি ট্রলারে করে সেন্টমার্টন থেকে টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেন পর্যটকরা। সকাল ১১টায় ৮০ জনের  দুইটি ট্রলার পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাটে পৌঁছায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন কোস্ট গার্ড স্টেশন কর্মকর্তা লে. তারেক আহমেদ জানান, আবহাওয়া ভালো থাকায় মঙ্গলবার সকাল থেকে দ্বীপে আটকা পড়া পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। এর আগে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় ভ্রমণে এসে সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছিলেন তিন শতাধিক পর্যটক। তবে যাতে তারা ঠিকমতো টেকনাফ পৌঁছান সে ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছি।

এ বিষয়ে সেন্টমার্টিন বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রলারে ৪০০ মানুষ সেন্টমার্টিন ত্যাগ করেছেন। তার মধ্য তিনশ পর্যটক ছিলেন। বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপে দুদিন ধরে আটকা পড়েছিলেন তারা।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় আটকে পড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনের হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

খুলনা থেকে সেন্টমার্টিন গিয়ে আটকে পড়েছিলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার দিল মোহাম্মদ। তিনি জানান, আমরা পাঁচ বন্ধু কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন গিয়ে আটকা পড়ি। আমাদের প্ল্যান ছিল রবিবার সেন্টমার্টিন থেকে ব্যাক করব। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুদিন অতিরিক্ত থাকতে হয়েছে। এই দিনে আমরা যে রিসোর্টে ছিলাম কিন্তু সেখানে কোনো রিসোর্ট কিংবা খাবার হোটেলে ডিসকাউন্ট পাইনি। এসময়ে কেউ আমাদের খোঁজ নিতে আসেনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের মতো বাকি পর্যটকরাও সেন্টমার্টিন গিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছিলেন। প্রতিবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনের মানুষ পর্যটকদের সাধ্যমতো সহযোগিতা করে। কিন্তু এবার কেন এ ধরনের ব্যবহার করা হলো বুঝতে পারছি না। আনন্দ করতে গিয়ে কষ্ট নিয়ে ফিরলাম।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ পারভেজ চৌধুরী জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সেন্টমার্টিনে ভ্রমণে এসে আটকা থাকা পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন। তাদের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!