• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা


শালিখা (মাগুরা) প্রতিনিধি নভেম্বর ৯, ২০২১, ০১:১২ পিএম
ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা

মাগুরা : শালিখায় শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে গাছিরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেজুরের রস আহরণে। শীতের হিমেল হাওয়ায় গাছিরা রস আহরণের আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করেছেন। আবহমানকাল থেকে গ্রামবাংলার আদি ঐতিহ্যের সঙ্গে খেজুরের রস ও শীতকাল একাকার হয়ে আসছে। শীতের মূল উৎসবই হলো শীতের পিঠা। যার মূল উপাদান খেজুরের রস, তাল রস, ঝোলাগুড় ও পাটালি। শীতের সকালে রোদে বসে যেমন পিঠা খেতে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবার ভালো লাগে। তেমনই শীতের সকালে গাছ থেকে পেড়ে আনা খেজুরের কাচা রস খেতেও মজা কম নয়। তাই প্রতিবছর খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি শুরু হয় শীতের শুরুতেই। এ বছরও শালিখা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খেজুরগাছ কাটার কাজ প্রায় শেষ করেছেন গাছিরা। গাছের মাথায় অনেকখানি বাকল তুলে সেখানে হাঁড়ি বেঁধে এ রস সংগ্রহ করা হয়।

উপজেলার কাদিরপাড়া গ্রামের গাছি হাফিজুর রহমান জানান, অন্য মৌসুমে তিনি বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। কিন্তু শীত এলেই খেজুরগাছ কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। এছাড়া শীতের সময় ধনী-গরিব সবার কাছে খেজুরের গুড়েরও বেশ কদরি আছে। তিনি জানান, তার নিজের কোনো গাছ নেই। অন্যের গাছ কেটে রস সংগ্রহ করতে হয় তাকে। তাই গাছের মালিককে রসের একটা অংশ দিতে হয় তার। তারপরেও প্রতিবছর তিনি রস ও গুড় বিক্রি করে লাভবান হয়ে থাকেন। আপনি কতগুলো খেজুর গাছ এ বছর কেটেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বছর ১০০ থেকে ১২০টি গাছ কেটেছি। আশা করি ভালোই রস পাবো।

উপজেলার আড়পাড়া শরুশুনা, গঙ্গারামপুর, দীঘলগ্রাম, শতখালী, তালখড়িসহ আরো কয়েকটি গ্রামঘুরে জানা গেছে, গাছিদের বাড়ির একপাশে স্তূপ করা থাকে অসংখ্য ছোট বড় রসের হাঁড়ি। মহিলারা বাড়ির উঠানে উনুনে মস্ত পাত্রে রস জ্বাল দেয়ে থাকেন। আর সারাদিন ধরে চলে জ্বালাইয়ের মাধ্যমে রস শোধন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে রসের মিষ্টি গুড় তৈরি হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখতে খেজুরগাছের ভূমিকা অপরিসীম। এ উপজেলায় এখনো ২৭ হাজার ৩০০ খেজুরগাছ রয়েছে। খেজুরগাছ ও রসের সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে ক্রমশ তা হ্রাস পাচ্ছে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিক কোনো গাছ এই উপজেলায় নেই।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!