• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সিটকিনি আটকে শোয়ার ঘরে একা জাহাঙ্গীর


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ২৬, ২০২১, ০৮:৫৯ এএম
সিটকিনি আটকে শোয়ার ঘরে একা জাহাঙ্গীর

ফাইল ছবি

গাজীপুর: শুরুটা ছিলো তার নিজ বাড়িতেই। ঘরোয়া এক আলোচনায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে জাহাঙ্গীর এমন সব কথাবার্তা বলেছিলেন, যে ধরনের কথা বলে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মামলার আসামি হয়েছেন বছর আটেক আগেই।

ঘরোয়া সেই আলোচনা আর গোপন থাকেনি। সেপ্টেম্বরে কিছুটা অডিও, কিছুটা ভিডিও আকারে ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। রেকর্ডকে বানোয়াট, সুপার এডিট ইত্যাদি নানা কথা বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জাহাঙ্গীর। দলের দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশেও উল্লেখ করেন একই কথা। কিন্তু বিশ্বাস করেনি তার দল।

ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতি শুরু করে নগর আওয়ামী লীগের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা বনে যাওয়া জাহাঙ্গীরকে ছেঁটে ফেলতে দুবার ভাবেনি দল।

সিদ্ধান্ত আসে গত ১৯ নভেম্বর। তার আগে থেকেই যখন বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ইঙ্গিত প্রকাশ হচ্ছিল, তখন থেকেই গাজীপুরের ‘মেয়র বাড়িতে’ ভিড় হালকা হতে শুরু করে।

দল যেদিন এমন সিদ্ধান্ত নেয়, সেই সন্ধ্যাতেই জাহাঙ্গীরের মেয়র পদ ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আলোচনা তৈরি হয়। ছয় দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সিদ্ধান্ত আসে; জাহাঙ্গীর হারান মেয়র পদও।

সিদ্ধান্তটি আসে বিকেল নাগাদ। তখন মেয়র ছিলেন তার বাসাতেই। তিনি কয়েক দিন ধরেই নগর ভবনে যাচ্ছিলেন না। নগর কর্তৃপক্ষের কয়েকজন কর্মকর্তা ফাইল নিয়ে তার বাসায় আসতেন, সেখানেই তিনি সই বা সিদ্ধান্ত দিতেন।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তাও টুকটাক কিছু মানুষ ‘মেয়র বাড়িতে’ এসেছেন, বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত আসার পর সেই মানুষদের সংখ্যা একেবারেই তলানিতে নামে।

স্বাভাবিক এক বিকেলে গাজীপুরে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে এই নীরবতা কদিন আগেও ছিল অভাবনীয়।
কিছুদিন আগেও যে বাড়িতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের উপচে পড়া ভিড়, থাকত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এভাবেই সেই বাড়িতে নেমে এসেছে সুনসান নীরবতা।

জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ির এক নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের জানান, বহিষ্কারের খবরের পর থেকে মেয়র তার বাড়ির তৃতীয় তলার শোয়ার কক্ষে ভেতর থেকে সিটকিনি আটকে একা ছিলেন। পরিবারের সদস্য ছাড়া কারও সঙ্গে দেখা করেননি কয়েক ঘণ্টা। পরে রাত ৯টার দিকে বের হয়ে ঢাকার দিকে এসেছেন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!