নাতনীর পরকীয়ার বলি নানা

চুয়াডাঙ্গা : নাতনীর পরকীয়ায় বাধা হয়ে দাড়ান নানা। যে কারণে প্রেমিক ওহিদ হোসেনকে নিয়ে নানার শরীরে বিষ পুশ করে হত্যা করে নাতনী কামনা খাতুন (১৯)। সে হত্যার দায় চাপানো হয় সাবেক স্বামী হাসানের ওপর। গত ২৯ নভেম্বর রাতে চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের বেলগাছি এলাকায় এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।

পরে রোববার দুপুরে (৫ ডিসেম্বর) কামনা খাতুন তার প্রেমিক রাশেদকে জড়িত করে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন।

রাশেদ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার গাইদঘাট গ্রামের আবু সাইদের ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত কামনা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি ইদগাপাড়ার কামাল মন্ডলের মেয়ে।
 
জবানবন্দীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্বামী হাসানের সাথে ডিভোর্সের আগেই কামনা সম্পর্কে জড়ান রাশেদের সাথে। সেই ছেলের সাথে সম্পর্কের কথা জেনে যান নানা, বকাঝঁকাও করেন।

পরে রাশেদের বুদ্ধিতেই ঘুমন্ত নানার ঘাড়ে কীটনাশক ভর্তি ইনজেকশন পুশ করেন কামনা। নানা উঠেই রাশেদকে দেখেন। কিন্তু হাসানের চেহারার সাথে মিল থাকায় অন্ধকারে তাকে হাসানই মনে করেন। তাই হাসানের নামই বলতে থাকেন। পরকীয়া ভালবাসাকে বাঁচাতে নিজ হাতেই নানাকে খুন করেন কামনা।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, শামসুলের মৃত্যুর সাথে সাথেই হাসানের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করে পরিবার। মৃত্যুর আগে তার নামও বলে যান শামসুল। তাই গ্রেফতার করা হয় হাসানকে।

কিন্তু কামনাকে নির্যাতন, হত্যার হুমকির কথা স্বীকার করলেও হত্যার কথা অস্বীকার করেন হাসান। পরে নানা ঘটনা পরম্পরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কামনাকে। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদে নাটকীয় মোড় পায় মামলা।

কামনা স্বীকার করেন, ঘাড়ে ইনজেকশন পুশ করে নানাকে নিজেই খুন করেছেন তিনি। যা তিনি আদালতেও স্বীকার করেছেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই