• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘তারা আমার বন্ধু, পেশায় কী আসে যায়’


নড়াইল প্রতিনিধি: ডিসেম্বর ১৯, ২০২১, ০৫:৪৬ পিএম
‘তারা আমার বন্ধু, পেশায় কী আসে যায়’

নড়াইল: বাংলাদেশের ক্রিকেটের বড় তারকাদের একজন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দেশসেরা পেসার এবং ওয়ানডেতে দেশের সফলতম অধিনায়কও তিনি। এখন আবার জাতীয় সংসদের সদস্যও। কিন্তু এত বড় মানুষ হয়েও নিজের অতীত ভোলেননি তিনি। 

তাইতো শৈশব-কৈশোরের বন্ধু-বান্ধব তারা যে শ্রেণি-পেশার হোন না কেন, সবার সঙ্গে আজও আগের মতোই আড্ডায় মাতেন 'নড়াইল এক্সপ্রেস'।  

নিজ জেলা নড়াইলে গেলেই যেন দুরন্ত কিশোরে পরিণত হন মাশরাফি। এখন সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ আরও বেড়ে গেলেও সময়-সুযোগ পেলেই ছুটে যান শৈশবের বন্ধুদের কাছে। মাশরাফি আর দশজনের চেয়ে এখানেই আলাদা। সবার সঙ্গেই পানির মতো মিশে যেতে পারেন। জাত-পাতকে কখনও ভিন্নভাবে ভাবেননি।  

মাশরাফির বন্ধুদের মধ্যে একজন রবি। পেশায় জুতা-স্যান্ডেল সেলাই-কালি করা। এক কথায় চর্মকার বা মুচি। নড়াইল শহরের চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে নাম বললে, একনামে সকলেই তাকে চিনবে। একটি মেহগনী গাছের নিচে বসে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জুতা-স্যান্ডেল সেলাই বা পালিশ করেই যার নিজের এবং পরিবারের অন্যদের পেট চলে।

সম্প্রতি একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে রবি জুতা সেলাই করছেন। হুডি ও মাস্ক পরে পায়ের ওপর পা তুলে পাশে বসে গল্প করছেন মাশরাফি।

মাশরাফির আরেকজন বন্ধু সুমন। পেশায় ঝাড়ুদার। মাশরাফির পুরাতন বন্ধুদের মধ্যে একজন একসঙ্গে ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে সব সময় পাশে থাকতেন। মাশরাফি নড়াইলে এলে বা ঢাকায় থাকলেও সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। সময় পেলেই চলে আসেন নড়াইলে।

এ বিষয়ে মাশরাফি বলেন, ছোটবেলায় যাদের সঙ্গে খেলা করে চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে বড় হয়েছি তারা আমার বন্ধু। তারা যে পেশায় থাকুক তাতে কী আসে যায়।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!