• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নষ্ট হচ্ছে শতকোটি টাকার সেগুন কাঠ


রাঙামাটি প্রতিনিধি ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ০১:৫৪ পিএম
নষ্ট হচ্ছে শতকোটি টাকার সেগুন কাঠ

রাঙামাটি : রাঙামাটিতে বৈধ জোট পারমিটের মাধ্যমে কর্তন করে মজুতকৃত ৩,০১,৯৮৩ ঘনফুট সেগুনসহ বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান কাঠ, যার বাজার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা দীর্ঘ তিন বছর ধরে খোলা আকাশের নীচে রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জেলার বরকল উপজেলার ছোট হরিণার এলাকার বিভিন্ন ডিপোটে।

এতে করে বরকল উপজেলায় জোট মালিক (বাগান মালিক)-সহ সংশ্লিষ্ট কাঠ ব্যবসায়ী, এর সঙ্গে জড়িত সাধারণ মানুষ এবং খেতে খাওয়া দিন মজুর চরম আর্থিক দৈন্য দশায় অভাব-অনটনের কারণে ছেলেমেয়ের লেখা পড়া নিয়ে এক চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে বছরের পর বছর দিনাতিপাত করছে।

আর এই করুণ অবস্থার জন্য রাঙামাটির কাঠ ব্যবসায়ীরা দোষ দিচ্ছেন স্থানীয় বন বিভাগকে। তাদের মতে বন বিভাগের অসহযোগিতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আজকে এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, রাঙামাটি চাকমা সার্কেলের অধীন মোট ১৫৯ টি মৌজার মধ্যে বরকল উপজেলায় রয়েছে মোট ২৮টি মৌজা। এর মধ্যে ১১টি মৌজায় জোট পারমিটের কাজ অর্থাৎ কাঠ ব্যবসা কোন অদৃশ্য কারণে গত তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে তার কারন বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ীদের ব্যাখ্যা করছে না। অথচ বাকি সব মৌজাগুলোতে গোত পারমিটের কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা বলেছেন।

রাঙামাটি বন সার্কেলের অধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ কর্তৃপক্ষ সেই ২০১৭ সাল থেকে বিভিন্ন সময় সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়া মোট ৭১টি ফ্রি জোট পারমিট ইস্যু করেছিল। সেই পারমিটের অনুবলে এবং বন বিভাগের সকল সরকারী নিয়ম অনুসরন কনে এসব মজুতকৃত কাঠ বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন জোট ভূমি থেকে কেটে সড়ক ও নদী পথে এন ছোট হরিণা ১২ বিজিবি জোনের পার্শ্ববর্তী দোকানঘাট এবং বড়ইতলা এলাকায় মজুদ করা হয়েছিল।

এসব মজুতকৃত কাঠের মধ্যে রয়েছে--সেগুন, গামার ও কড়ই। এসব কাঠ দীর্ঘ বছন ধরে খোলা আকাশের নীচে থাকায় বর্তমানে অর্ধেক অংশের বেশি রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে পচে নষ্ট হয়ে গেছে, যা সম্প্রতি সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে এ বাস্তবচিত্র দেখা গেছে।

বরকল কাঠ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির লি. সভাপতি মো. শাহ আলম বলেছেন, বন বিভাগ আমাদেরকে সহযোগিতা করছে না। আমরা যখনই মজুতকৃত কাঠগুলো পরিবহনের জন্য ডি-ফরম অনুমোদনের জন্য বন বিভাগের কাছে যাই, তখন তারা ডি-ফরম ইস্যু করে না। এ অবস্থায় বিগত তিন বছরে আমাদের কাঠগুলো প্রায় পচে নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা শিগগিরই বন বিভাগের বিরুদ্ধে মামলা করবো এবং আমরা ক্ষতিপূরণসহ আমাদেরকে টাকা ফেরত চাই।

পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ এর কাছ থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, কাঠ ব্যবসায়ীদেরকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। কিন্তু তারা কী কারণে সেই মজুতকৃত কাঠগুলো নিয়ে আসতে পারছে না, সেটা একমাত্র তারাই জানে। আমরা বাধা দিচ্ছি এ অভিযোগ সঠিক নয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!