• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

পরিত্যক্ত জীর্ণ অবস্থায় সাব-কারাগার


ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি জানুয়ারি ৪, ২০২২, ১১:০৫ এএম
পরিত্যক্ত জীর্ণ অবস্থায় সাব-কারাগার

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার সাব-কারাগারটি পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। এর অবকাঠামোর বিভিন্ন অংশ ইতিমধ্যে খোয়া গেছে। কারাগারটির প্রধান ফটকের দরজার রড, জানালার কাঠের কোপাট ও গ্রিল নষ্ট হয়ে গেছে। ভবনের অবস্থাও জীর্ণ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সন্ধারই এলাকায় ২ একর জমি নিয়ে কারাগারটি সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ বিগত ৩০ বছর আগে রানীশংকৈল উপজেলায় ২০০ শত জন কয়েদির ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মিনি সাব জেলখানা নির্মিত করেন।

এরশাদের আমলে এ জেলখানাটি ব্যবহৃত হলেও পরবর্তী বিএনপি সরকারের আমলে জেলখানাটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই অবকাঠামোসহ কারাগারটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারাগার যেন নয় কোনো ভূতের বাড়ি হয়ে রয়েছে। কারাগারের প্রধান ফটকের রডগুলো নেই। নেই হাজতবাস আসামিদের সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের দরজা ও গ্রিলের রডগুলো, ভবনের ফ্লোর চারপাশের উচ্চতা সম্পূর্ণ দেয়ালের আস্তর উঠে এবং শেওলা ধরে বেহাল হয়ে রয়েছে।

জেল সুপারের অফিস কক্ষসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্মিত কক্ষগুলোর দরজা জানালাসহ ভবনের আস্তর ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানটি নেশার আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।

এ ছাড়া কারাগারটির ভেতরে ঝোপঝাড়ের সঙ্গে বিষাক্ত পোকামাকড়ের বসবাস শুরু হয়েছে। তা ছাড়াও ভবনের বিভিন্ন অংশের ইট খুলে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।

স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, আমার জন্মের পর থেকে দেখছি কারাগারটি এভাবে পড়ে রয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে এর ক্ষয়ক্ষতি আরও হতে পারে। তা ছাড়া এত বড় স্থাপনাসহ জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় রাতে এখানে খারাপ লোকজনের উপস্থিতিতে সরব থাকে।

রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, জেলখানার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। জেলখানা ছাড়াও রাণীশংকৈলের সবগুলো ঐতিহ্য নিয়েই কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!