• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

হাঁড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষীরা


ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানুয়ারি ১৭, ২০২২, ০৩:৫১ পিএম
হাঁড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষীরা

দিনাজপুর : আমনের বাম্পার ফলন ঘরে তোলা শেষে কনকনে বাতাস আর হাঁড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করেই দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার বোরো চাষিরা বোরো বীজতলা তৈরি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। যদিও কিছু সময় ধরে ঘন কুয়াশাসহ হাঁড় কাঁপানো শীতের দাপটে চাষিদের কিছু সময় চলে গেছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো চাষ মৌসুমে ফুলবাড়ী উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমি। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বোরো বীজতলা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৮৮ হেক্টর জমি। কিন্তু চাষিরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক জমিতে বীজতলা তৈরি করেছেন। লক্ষ্য অর্জনের জন্য বোরো চাষিদের উন্নত জাতের বোরো ধান আবাদসহ উৎপাদন বৃদ্ধি এবং চাষিদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে উপজেলার ৪ হাজার ৩১০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষির মাঝে বিনামূল্যে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের বীজ এবং এক হাজার ৬৬০ জনকে উচ্চ ফলনশীল জাতের বোরো বীজ ও রাসায়নিক সার ইতোমধ্যেই বিতরণ করা হয়েছে।

ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের গোপালপুর সুবাস চন্দ্র রায় বলেন, তীব্র শীত আর লাগাতার ঘন কুয়াশা পড়ার আগেভাগেই বীজতলা তৈরি আর সেই বীজতলা রোপণ করলে ফলন যেমন আশানুরুপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তেমনি ক্ষেতে রোগবালাই ধরার সম্ভাবনা কম থাকে। এতে বীজতলা আর অর্থ দুই-ই অপচয় থেকে রক্ষা পাওয়ার পাশাপাশি অল্প বীজতলায় অধিক জমিতে চারা রোপণ করা যায়।

পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী গ্রামের বোরো চাষি মোস্তাক আহমদ বলেন, শীতের তীব্রতা কমে আসার সাথে সাথে বোরো চাষে চাষিরা ঝুঁকে পড়বেন। যদিও অনেকেই আগেভাগেই জমি তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ইতোমধ্যেই গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়াসহ সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতমজুর লিপি মুর্মু ও মালতি কিস্কু বলেন, কনকনে শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে মাঝে কয়েকদিন ক্ষেতে কাজ করা যায়নি। তবে এখন হাঁড় কাঁপানো শীত থাকলেও কুয়াশা না থাকায় কাজ করতে হচ্ছে। ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা দিনমজুরী পাচ্ছেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রুম্মান আক্তার বলেন, চলতি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে। মাঠে মাঠে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা কাজ করছেন। এ বছর উচ্চ ফলনশী জাতের ব্রি-২৮, ২৯, ৭৪, ৮১, ৮৯, ৯২ ও বীনা-১৮, জিরাসাইলসহ বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা। প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে আমনের মতোই উপজেলায় বোরো ধানেরও বাম্পার ফলন হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!