• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিবারিক মারামারি দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল বৃদ্ধের


যশোর প্রতিনিধি ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২২, ১২:৫৫ পিএম
পরিবারিক মারামারি দেখতে গিয়ে প্রাণ গেল বৃদ্ধের

ছবি : সংগৃহীত

যশোর : বিনয় বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের পরিবারের মধ্যে মারামারির ঘটনা দেখতে গিয়ে যশোরের বেনাপোলের পুড়াবাড়ীতে ধাক্কাধাক্কিতে শ্বশি ভূষণ বিশ্বাস (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাসসহ ৬ জনকে থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

গ্রামবাসীরা জানান, শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে ওই গ্রামের বিনয় বিশ্বাস ও মনি ঠাকুরের পরিবারের মধ্যে বাড়ির সামনে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে কলহ বাঁধে। এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এসময় বিনয় বিশ্বাসের ছেলে শুভংকর বিশ্বাস ও আব্বাসের ছেলে বাবু পাইপ দিয়ে মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে পেটাতে থাকেন। তাদের মারামারি থামানোর জন্য আশপাশ থেকে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। ছুটে যান শ্বশীভূষণ বিশ্বাসও।

নিহত শ্বশীভূষণ বিশ্বাসের ছেলে বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, বিনয় বিশ্বাস, তার ছেলে শুভংকর বিশ্বাস ও তাদের লোকজন মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে মারছিলেন। বাবা ঠেকাতে গেলে বিনয় বিশ্বাস বাবাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এসময় আমি দৌড়ে এসে বাবাকে তুলতে গেলে বিনয় বিশ্বাসের লোকজন আমাকে পাইপ দিয়ে মারতে থাকে। সে মারের আঘাত বাবার গায়েও লাগে। এসময় বাবা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিনয় বিশ্বাসের লোকজন আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিনয় বিশ্বাস বলেন, মনি ঠাকুর আমার বাড়ির পাশ থেকে মাটি কাটছিল। মাটি কাটতে নিষেধ করায় মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী ঝগড়া বাঁধায়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে মারামারি বেঁধে যায়। এসময় শ্বশীভূষণ বিশ্বাস মারামারির মাঝে এসে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে কেউ কোনোভাবে আঘাত করেনি।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, বেনাপোল পোড়াবাড়ী নারায়ণপুর গ্রামে দুই পরিবারের মারামারির মাঝে পড়ে শ্বশীভূষণ বিশ্বাস নামে একজন মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কীভাবে মারা গেছেন সেটা বলা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টা তদন্ত করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিনয় বিশ্বাস ও তার ছেলে শুভংকর বিশ্বাস, আব্বাস ও তার ছেলে বাবু, মনি ঠাকুর ও তার স্ত্রী মামনি ঠাকুরকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!