• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ববির ৩ শিক্ষার্থীকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ


বরিশাল প্রতিনিধি মার্চ ২৬, ২০২২, ০৯:৫৯ এএম
ববির ৩ শিক্ষার্থীকে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ

বরিশাল : বরিশাল নদীবন্দরে টার্মিনালে টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে কান ধরে ওঠবস করানোর অভিযোগ উঠেছে ওই বন্দরের স্টাফদের বিরুদ্ধে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার বিচার চেয়ে দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বন্দর ভবন।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাতে বরিশাল নদী বন্দরে প্রবেশ মুখে দশ টাকা মূল্যের টিকিট কাটা নিয়ে নৌ-স্টাফদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তিন শিক্ষার্থীর। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, টিকিট কেনার পর না ছিঁড়েই পরে একই টিকিট কালোবাজারি করে অন্য যাত্রীদের মাঝে বিক্রি করা হয়। এর প্রতিবাদ করলে তিন শিক্ষার্থীকে নৌ-বন্দরের স্টাফরা মারধর করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষার্থীরা ছুটে এসে রাত সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে আন্দোলন থেকে সরে আসেন তারা।

ফোন পেয়ে নদীবন্দরে আসা ববির এক শিক্ষার্থী জানান, নদীবন্দরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা জানতে পেরে রাত ৯টার মধ্যে সেখানে ববির শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন। এরপর হামলায় জড়িত স্টাফদের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সেখানে অবস্থান নেন। বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের বন্দর কর্মকর্তা, নৌ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি সমাধানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হামলাকারী স্টাফদের বরখাস্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নদীবন্দরে প্রবেশ ফি নেওয়া বন্ধ করা এবং হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মুঠোফোন ও মানিব্যাগ ফিরিয়ে দেওয়া বা ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। তারা দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে চলে আসেন।

বরিশাল সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসনাত জামান বলেন, নদীবন্দরে প্রবেশ টিকিট কাটা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর স্টাফরা দুর্ব্যবহার করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তাদের মারধর করা হয়েছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী নদীবন্দরে জড়ো হন। পরে অভিযুক্তদের বিচারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা শান্ত হন।

নদীবন্দরে যাত্রীদের হয়রানির কথা স্বীকার করে বন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এর আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলেও এখন বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনা হবে জড়িতদের।

গত ৯ জানুয়ারি সুরভী লঞ্চে যাত্রীদের মারধর করেন লঞ্চের স্টাফরা। সেই ছবি তুলতে গেলে দুই চিত্র সাংবাদিককে পেটানো হয়।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!