• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
হাট ইজারায় দুর্নীতি

পদ হারালেন নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ৩০, ২০২২, ০৭:৫৮ পিএম
পদ হারালেন নড়াইল জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান

নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরমেয়র সোহরাব হোসেন।

নড়াইল: হাট ইজারায় দুর্নীতি ঘটনায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে অব্যহতি দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বুধবার (৩০ মার্চ) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ তানভীর আজম ছিদ্দিকী স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নড়াইল জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত বিজ্ঞ স্পোশাল জজ (জেলা ও দায়রা)  আদালতে দায়েরকৃত স্পেশাল মামলা নং ১২/২০০৯ মুলে দন্ডবিধি ৪০৯/১০৯ ধারার অপরাধের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

যেহেতু জেলা পরিষদ আইন, ২০০ এর ধারা ১০ এর উপ ধারা (১) (গ) অনুযায়ী সোহরাব হোসেন বিশ্বাসকে জেলা পরিষদ নড়াইল এর চেয়ারম্যান পদ হতে অপসারণ করা হলো।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা আয় করে। ২০০৫ সালে একই হাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করে। সব মিলিয়ে ১২ লাখ ২ হাজার ২৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে তারা আত্মসাৎ করে। 

যশোরের দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা করেন। 

মামলাটির তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী, পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেন। 

পরে মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে পাঠানো হয়। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন।

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!