• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযোগ জানাতে গিয়ে পিবিআই কর্মকর্তার শিকার কলেজছাত্রী


খুলনা প্রতিনিধি মে ১৫, ২০২২, ০৯:০৩ পিএম
অভিযোগ জানাতে গিয়ে পিবিআই কর্মকর্তার শিকার কলেজছাত্রী

খুলনা : খুলনার ডুমুরিয়ায় উত্ত্যক্তকারীর হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একজন পরিদর্শকের (ইন্সপেক্টর) সাহায্য চেয়েছিলেন এক কলেজছাত্রী। তবে সাহায্যের পরিবর্তে ওই ইন্সপেক্টর তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই তরুণী।

রোববার (১৫ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর ছোট মির্জাপুরে একটি পত্রিকা অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মেয়েটির বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায়। ২০২১ সালে বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন ওই কলেজছাত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি সংক্রান্ত একটি সমস্যা নিয়ে পাঁচদিন আগে তিনি পিবিআই ইন্সপেক্টর মনজুরুল আহসান মাসুদের কাছে যান। ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কাগজী হাউজের ওই পত্রিকা অফিসের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করেন এবং সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় আজ দুপুরে লিখিত অভিযোগ দেন ওই তরুণী।

রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল মহানগরীর ছোট মির্জাপুরস্থ এক‌টি বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

অভিযোগ পাওয়ার পর মেয়েটিকে নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, সহকারী কমিশনার (খুলনা জোন) ইয়জিদ ইবনে আকবর ও খুলনা থানার ওসি হাসান আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় অফিস তালাবদ্ধ থাকায় পুলিশ তালা ভেঙে অফিসে প্রবেশ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষণের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার (সাউথ) সোনালী সেন বলেন, ফেসবুকে মেয়েটির ছবি শেয়ার সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে পিবিআই ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আহসান মাসুদের কাছে আসেন। বিষয়টি মাসুদ দেখছিলেন। আজ সকালে নগরীর ডাকবাংলা এলাকা থেকে মেয়েটি মাসুদের মোটরসাইকেলে করেই ওই প্রতিষ্ঠানে যায়। পরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে মেয়েটি অভিযোগ করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, ঘটনা জানার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অফিস তালাবদ্ধ থাকায় পরে তালা ভেঙে প্রবেশ করা হয়। সেখানে কিছু আলামত পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে মাসুদের মোবাইল নম্বর বন্ধ এবং তিনি পলাতক রয়েছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!