• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পদ্মা সেতু পাড়ি দিবে ৩৮ মণ ওজনের ফরিদপুরের সম্রাট


ফরিদপুর প্রতিনিধি জুন ৩০, ২০২২, ১২:৫৭ পিএম
পদ্মা সেতু পাড়ি দিবে ৩৮ মণ ওজনের ফরিদপুরের সম্রাট

ফরিদপুর : কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পশুহাটে সম্রাট নামে ফরিদপুর জেলার সবচেয়ে বড় আবারের ষাঁড় গরুটি ঢাকার হাটে যাবে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে। সাড়ে তিন বছরের এই গরুটি লম্বায় সিনা থেকে পেছন পর্যন্ত ১১ ফুট এবং এর উচ্চতা ফ্লোর থেকে পিঠ পর্যন্ত প্রায় ৬ ফুট। ৩৮ মণ ওজনের এই গরু কেনার মতো তেমন ক্রেতা মিলছে না। 

এজন্য এবার সম্রাটকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে। মালিকের আশা, পদ্মা সেতুর বদৌলতে এবার হয়তো তিনি কাঙ্ক্ষিত ক্রেতাও পেয়ে যাবেন। এ লক্ষ্যে নেয়া হচ্ছে সবধরনের প্রস্তুতি। গরুটির দাম চাওয়া হচ্ছে দশ লাখ টাকা। 

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৫৩ হাজার ৮শ’ পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর শহরের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বিলমামুদপুরে অবস্থিত মাইশা ডেইরি ফার্মের ৩৮ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাড় গরুটিই ফরিদপুরের সবচেয়ে বৃহৎ আকারের ষাড় গরু।

ফরিদপুরে কোরবানীর পশুর চাহিদা ৪১ হাজারের কিছু বেশি। সেই হিসাবে ফরিদপুরের প্রায় ১২ হাজারের বেশি গরু উদ্বৃত্ত রয়েছে যেগুলো ফরিদপুরের বাইরে বিক্রি করা যাবে। জেলায় ৩৩টি পশুর হাট ছাড়াও অনলাইনে গরুর হাটেও এসব পশু বেচাকেনা হবে।

ফরিদপুরের মাইশা ডেইরি ফার্মে ১০৭টি গরু রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় এই সম্রাট। এই খামারের শ্রমিকরা জানান, বড় গরু পালন অনেক কষ্টের কাজ। ভোর চারটা থেকে উঠে আমরা গরুর খামারের কাজ শুরু করি। 

প্রতিমুহূর্তেই এদের জন্য খাবার তৈরি করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাসহ নানা কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। রোগাক্রান্ত হলে সেই গরুকে আলাদা সরিয়ে ফেলতে হয়। বড় ষাড় থেকে গাভি ও বাছুর সবই রয়েছে এই ফার্মে। প্রতিদিন প্রায় পাঁচশো লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। একেকটি গাভী সকাল ও বিকাল দুই বেলা মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫ লিটার পর্যন্ত দুধও দিচ্ছে।

মাইশা ফার্মের স্বত্বাধিকারী রফিকুল ইসলাম সবুজ জানান, তার ফার্মে ৪২ মাস আগে সম্রাটের জন্ম। সবমিলিয়ে এখন এর শরীরে গোস্ত রয়েছে ১২শ’ কেজি। প্রাকৃতিক ঘাস আর বিশেষ যত্ন নিয়েই বড় করে তোলা হয়েছে। সাথে বিশেষ কিছু খাবার হিসেবে তাকে দেয়া হয় আপেল, কমলা ও আঙুর। এছাড়া প্রতিদিনের খাবার হিসেবে তাজা ঘাস, খড়, গম, ভুসি ও খৈল এসবই খাওয়ানো হয়। 

সবুজ বলেন, বড় গরু পালন করা খুবই কষ্টসাধ্য। কারণ এখানে কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা মিলে না। তবে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার সময়-সুযোগমতো আমরা সম্রাটকে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় কোরবানীর পশুর হাটে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। অনলাইনেও বিক্রির জন্য তথ্য দেয়া হয়েছে।

ফরিদপুর জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কর্মকর্তা নুরুল আহসান বলেন, এ বছর মাঝখানে গবাদি পশুর খাদ্যের মূল্য একটু বেশি ছিলো তবে এখন আবার সেটি সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। আমরা আশা করছি খামারিরা ভালো দাম পাবে। আমাদের দেশীয় তথা ফরিদপুরের গরু দিয়েই আমাদের চাহিদা পূরণ করে বাইরে পাঠাতে পারবো।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!