• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৩২ মণ ওজনের লাল বাদশার দাম ৮ লাখ টাকা


পিরোজপুর প্রতিনিধি জুন ৩০, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম
৩২ মণ ওজনের লাল বাদশার দাম ৮ লাখ টাকা

পিরোজপুর : আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৩২ মণ ওজনের লাল বাদশাকে প্রস্তুত করা হয়েছে। শাহীওয়াল জাতের এই গরুটিকে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন মালিক সাখাওয়াত হোসেন। লাল বাদশা বর্তমানে সদর উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শুভঙ্কর দত্ত।

সরেজমিনে দেখা যায়, দৈহিক উচ্চতা ও গড়নে যেমন, তেমনি তার চলাফেরা। মেজাজ প্রচণ্ড গরম। নড়াচড়া করাতেই তার জন্য প্রয়োজন হয় ৭-৮ জন লোক। প্রতিদিনই তাকে ৩-৪ বার গোসল করাতে হয়। গরুটির ভরণপোষণে হিমশিম খাচ্ছেন মালিক সাখাওয়াত হোসেন। 

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের ভোরা এলাকায় গরুটিকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছে। প্রায় সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার লাল রঙের লাল বাদশাকে নিয়ে ইতোমধ্যেই এলাকায় হইচই পড়ে গেছে।

গরুটির মালিক সাখাওয়াত বলেন, লাল বাদশার খাদ্য তালিকায় রয়েছে দেশি ঘাস, খৈল, ভুসিসহ সকল দেশীয় খাদ্য। দিনে তিন থেকে চার বার গোসল করাতে হয়। বর্তমানে লাল বাদশার ওজন প্রায় ৩২ মণ হয়েছে। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে লাল বাদশার দাম চাচ্ছি ৮ লাখ টাকা। ক্রেতারা এসে গরুটি যেন দেখে যান, আমার সেই আহ্বান থাকবে।

তিনি বলেন, এই গরুটিকে আমি বাছুর অবস্থায় কিনে কিনেছিলাম। স্বামী-স্ত্রী মিলে গরুটিকে ঘাস ও খড় খাইয়ে চার বছর লালন-পালন করছি। এখন আর তার সঙ্গে শক্তিতে পারি না। ৮ লাখ টাকায় গরুটি বিক্রি করতে পারলে আমার খরচের জায়গাটা থাকে। 

কদমতলা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিজ প্রচেষ্টায় গরুটিকে কয়েক বছর ধরে মালিক সাখাওয়াত অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করেছেন। ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি গরুটি তৈরি করেছেন। গরুটি প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয়েছে। 

পিরোজপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শুভঙ্কর দত্ত বলেন, আমরা গরুটি সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি। লাল বাদশা বর্তমানে পিরোজপুর সদর উপজেলার সব থেকে বড় গরু। লাল বাদশা ছাড়াও এই উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৩ হাজার ৩৮০টি গরু ও ৪ হাজার ৫৪৫টি ছাগল-ভেড়া প্রস্তুত রয়েছে। যা আমাদের উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য উপজেলায় বিক্রি হবে বলে আশা করছি।

সোনালীনিউজ/এনএন

Wordbridge School
Link copied!