• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

এবার মুখ খুললেন খায়রুনের প্রথম স্বামী


নিজস্ব প্রতিবেদক আগস্ট ১৫, ২০২২, ০৯:৩৬ পিএম
এবার মুখ খুললেন খায়রুনের প্রথম স্বামী

নাটোর: নাটোরে কলেজ শিক্ষিকা খায়রুন নাহার (৪০) নিহতের ঘটনায় স্বামী মামুন হোসেনকে (২২) জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আলাদত। সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মামুনকে নাটোর আদালতে হাজির করা হলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোসলেম উদ্দীন জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার মোল্লা ম্যানশনের চারতলার ভাড়া বাসা থেকে ওই শিক্ষিকার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মামুন হোসেনকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আট মাস আগে এই দম্পতির বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়। 

এদিকে খায়রুনের প্রথম বিয়ে হয় তার সহপাঠির সঙ্গে। সহপাঠি থেকে প্রথমে বন্ধুত্ব, পরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক। চার বছরের প্রেম গড়িয়েছিল দাম্পত্য সম্পর্কে।

নানা টানাপোড়েন আর মান অভিমানের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক টিকেছিল ১৯ বছর। ২ পুত্র সন্তান থাকার পরও ২০২০ সালে বিচ্ছেদ ঘটান তারা।

আরও পড়ুন<<>>সেই রাতে খায়রুনকে লাথি মেরে বাইরে বেরিয়ে যান মামুন

খাইরুন নাহারের মৃত্যুতে শোকাহত তার প্রথম স্বামী জহরুল ইসলাম বাবলু। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু ছেলেদের সাথে তো ছিল। দোয়া করবেন আমি যেন ওদের মায়ের অভাব পূরণ করতে পারি।’

জহরুল ইসলামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী ইউনিয়নের পান্নাপাড়া গ্রামে। বর্তমানে তিনি পান্নাপাড়া আব্দুর রহমান বিএম কলেজের প্রভাষক। প্রথম সংসার ভেঙ্গে যাবার পর আর বিয়ে করেননি তিনি।

জানা গেছে, জহরুল ইসলাম লেখাপড়া শেষ করেই কলেজে শিক্ষকতা শুরু করলেও বহুদিন তার বেতন হয়নি। সম্প্রতি ঘোষিত এমপিও তালিকায় তার বেতন চালু হয়েছে। এর আগে আর্থিক চরম অনটন পার করতে হয়েছে তাকে। সেই সময়টিতে তিনি অটোরিকশাও চালিয়েছেন। এরই মাঝে পারিবারিক অশান্তি থেকে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান।

তবে, বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করে বলতে চান না জহরুল ইসলাম। সাংবাদিকদের শুধু এটুকুই জানিয়েছেন যে, মান অভিমান থেকেই বিচ্ছেদ।

তিনি বলেন, ‘ও খারাপ না ভালো- এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলবো না। ও-ই আমাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। আমাদের সংসারে দুটি ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে বৃন্ত রাজশাহগীতে একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। আর ছোট ছেলে অর্ক বাঘার একটি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।’

তাদের বিচ্ছেদের পর বৃন্ত কখনও দাদার বাড়ি আবার কখনও নানার বাড়িতে থাকেন। আর অর্ক তার বাবার কাছে দাদার বাড়িতেই থাকে।

পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে নিয়ে জহরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দুজনই রাজশাহী কলেজে দর্শন বিভাগে পড়তাম। ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী। সেখানেই পরিচয়, বন্ধুত্ব ও প্রেম। অনার্স পরীক্ষা দিয়েই আমরা বিয়ে করেছি। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে। পরে দুজনই মাস্টার্স করেছি। আমাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।

‘পারিবারিক মান অভিমান থেকে ও-ই তালাক দিয়ে চলে গেছে। পরে আমার সাথে আর যোগযোগ হতো না। ছেলেদের সাথে কথা বলতো। অনেক সময় আমার মোবাইল থেকে ছেলেরা কল দিয়ে কথা বলতো।’

কলেজছাত্রকে সাবেক স্ত্রীর বিয়ের বিষয়ে জহরুল ইসলাম বলেন, ‘ওর ভালো লেগেছিল করেছে। ভালো থাকার আশা নিয়েই তো করেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘মারা যাবার খবর শুনে খারাপ লেগেছে। বেশি খারাপ লেগেছে আমার বাচ্চাগুলো মা হারা হয়ে গেল।’

সোনালীনিউজ/আইএ

Wordbridge School
Link copied!