• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রহিমা নিখোঁজের মামলায় গ্রেপ্তারদের কী হবে?


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২, ০৪:৪০ পিএম
রহিমা নিখোঁজের মামলায় গ্রেপ্তারদের কী হবে?

ঢাকা: খুলনায় নিখোঁজ গৃহবধূ রহিমাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ মামলায় কারাগারে রয়েছেন খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া, রহিমার দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ ও জুয়েল এবং হেলাল শরীফ। 

গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের স্বজনরা দাবি করেছেন, নিখোঁজের সঙ্গে তারা জড়িত নন। তাদের দাবি, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে আত্মগোপন করেছিলেন রহিমা বেগম। এই ঘটনা রহিমার পরিবারের সদস্যরা জানতেন বলেও দাবি তাদের।

রহিমাকে উদ্ধারের পর এ মামলায় আটক রফিকুল আলম পলাশ ও নুরুল আলম জুয়েলের বাবা আনসার উদ্দিন আহমেদ বলেন, তার ছোট ছেলে পলাশ চাকরি করে এবং বড় ছেলে জুয়েল মুদি দোকানি। তার দুই ছেলেকে রহিমাকে কথিত অপহরণের মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আনসার উদ্দিন আরো জানান, তারা হয়রানির শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে জমির সীমানা নিয়ে মতবিরোধ থাকায় মামলা দিয়ে হয়রানি ও সম্মানহানি করা হয়েছে। রহিমা ও তার সন্তানরা কেন এই নাটক সাজালো সে ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থার দাবিও জানান তিনি।

রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান ‘নাটকবাজ’ দাবি করে এই মামলায় আটক মহিউদ্দিন ও গোলাম কিবরিয়ার বড় ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের মিথ্যা কথা বলে প্রায় এক মাস বিভ্রান্ত করেছে। ময়মনসিংহে গিয়েও মরিয়ম নাটক সাজায়।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আটক ফুলবাড়িগেট এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী হেলাল শরীফের স্ত্রী মনিরা আক্তার বলেন, ২৮ দিন ধরে বিনা অপরাধে জেল খাটছেন আমার স্বামী। আগস্টের ৩০ তারিখে আমার স্বামী আটক হন আর সেপ্টেম্বরের ৬ তারিখে আমার মেয়ে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, অক্টোবরে আমার বাচ্চার ডেলিভারির তারিখ ছিল। কিন্তু স্বামী আটক হওয়ার পর আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে আগেই সিজার করে আমার মেয়ে হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমি আমার স্বামীকে কাছে পাইনি।

মনিরা আক্তার বলেন, বিনা অপরাধে জেল খেটে আমাদের হয়রানি, অর্থদণ্ড, মানহানি হয়েছে। আমরা নিশ্চিত ছিলাম যে আটকরা কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। আমার স্বামী বের হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো। আমরা আশা করছি, দ্রুত আমার স্বামী ছাড়া পাবে।

২৭ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হবার পর তাকে সম্ভাব্য স্থানে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা প্রথমে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তারা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!