• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যে কথা বলে বান্দরবানে হোটেলে কাজ নেন রহিমা


খুলনা সংবাদদাতা সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২, ০৪:০২ পিএম
যে কথা বলে বান্দরবানে হোটেলে কাজ নেন রহিমা

খুলনা: খুলনার আলোচিত রহিমা বেগমের আদালতে দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশকে দেওয়া বক্তব্যের গরমিল পাচ্ছেন তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। তিনি বান্দরবান গিয়ে হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন। তার সব বক্তব্য যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এদিকে রহিমা বেগম, তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান, আদুরী আক্তারসহ পরিবারের সবাইকে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

রহিমার ‘নিখোঁজ হওয়ার’ ঘটনায় করা মামলায় আর্থিক-সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো গতকাল মঙ্গলবার খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করে এই দাবি জানিয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রহিমা পুলিশকে যে কথা বলেছিলেন, আদালতে তা বলেননি। তিনি আদালতে বলেন, অপহরণকারীরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বান্দরবানে ছেড়ে দেয়। সেখানে থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় আসেন, পরে বোয়ালমারীর সৈয়দপুরে পৌঁছান। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরো বলছেন, বান্দরবান থেকে ঢাকা আসার কোনো রেললাইন নেই। এই তথ্যটি একেবারে ভুয়া। বারবার তিনি অপহরণের দাবি করছেন। অপহৃত হলে তার কাছে ব্যাগ ও নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্র কিভাবে ছিল?
 
উদ্ধারের সময় তাঁর কাছে এসব সামগ্রী পাওয়া যায়। তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, রহিমা বান্দরবানে গিয়েছিলেন। সেখানে হোটেলে কাজ নিয়েছিলেন। সেখানে লোকজনকে বলেছিলেন, তার এক ছেলে ঢাকায় পড়াশোনা করে, টাকার প্রয়োজন। লোকজন তাকে পাশে আরেকটি কাজ ঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করে। সেখানে তার কাজটি ঠিক হয়েও গিয়েছিল, তবে তার কাছে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) চায়। যা সংগ্রহ করার জন্যই তিনি ফরিদপুরে বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামে যান।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, তারা রহিমা বেগমের দেওয়া দুটি বক্তব্যই যাচাই করে দেখছেন। তাদের কাছে দেওয়া বক্তব্য এবং আদালতে দেওয়া বক্তব্যে যেমন গরমিল আছে, তেমনি আদালতে দেওয়া বক্তব্যে অসত্য তথ্য আছে।

রহিমা ও তার পরিবারের বিচার দাবি

গত সোমবার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে মালিহা মহিউদ্দিন মাহি বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, রহিমা বেগমের কাছে ব্যাগ, কাপড়-চোপড়, ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। তিনি জন্ম নিবন্ধনের জন্য ফরিদপুরের বোয়ালমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদেও গিয়েছিলেন, যা কোনোভাবে অপহৃত ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া পুলিশ ও আদালতে রহিমা বেগমের দেওয়া বয়ানেও পার্থক্য রয়েছে। তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটিত হবে।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!