• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘আয়াতকে ৬ টুকরো করেছে, আমাদের নাকি ১২ টুকরো করবে’


চট্টগ্রাম ব্যুরো ডিসেম্বর ২, ২০২২, ০৯:২৬ পিএম
‘আয়াতকে ৬ টুকরো করেছে, আমাদের নাকি ১২ টুকরো করবে’

চট্টগ্রাম: আয়াতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা ও দাদা। আজ শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ অভিযোগ করেন। এ সময় আয়াত হত্যায় আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলেও দাবি করেছেন তারা।

মানববন্ধনে আয়াতের দাদা মনজুর আলম বলেন, ‘আমার কলিজার টুকরা আয়াতকে যারা মারছে তাদের ফাঁসি চাই। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন দ্রুত যেন এ বিচারটা শেষে করে খুনির ফাঁসি দেন। তার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত মনের জ্বালা মিটবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনো কিছু লোক মেসেজ দিচ্ছে, আয়াতকে ৬ টুকরো করছে, আমাদের ১২ টুকরো করে ফেলে দেবে। একটি ফেসবুক আইডি থেকে মেসেজ পাঠিয়ে এ হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরে মেসেজগুলো আবার ডিলিট করে দিয়েছে তারা। আমরাও এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি।’

আয়াতের বাবা সোহেল রানা বলেন, ‘আয়াত শুধু আমার মেয়ে নয়, সারা দেশের মেয়ে। আয়াত হত্যাকাণ্ডে আবিরের সঙ্গে আরও কিছু মানুষ জড়িত আছে। তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তারা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। তবে তারা কারা আমরা জানি না। তারা বলছে, আমার মেয়েকে যেভাবে কেটে ফেলছে, আমাকেও মেরে ফেলবে। তারা মেসেঞ্জারে হুমকি দিচ্ছে। আয়াতের খুনিদের ফাঁসি চাই।’

এদিকে, আয়াতের মরদেহের খণ্ডিত অংশের সন্ধানে আজও অভিযান চালিয়েছে পিবিআই। পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরীর পরিদর্শক ইলিয়াস খান জানিয়েছেন, আয়াতের মরদেহের মাথাসহ তিন টুকরো উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টুকরোগুলোর সন্ধানে আজ বে টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে ২০ জন শ্রমিকের পাশাপাশি ৪৯ জন পিবিআই সদস্য অংশ নেন। কিন্তু কোথাও কিছু মেলেনি।

গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় পাঁচ বছর বয়সী আয়াত। এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন সে নিখোঁজের অভিযোগে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা সোহেল রানা। এরপর ২৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় আবির আলীকে। আবির একসময় আয়াতের দাদাবাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। কাজ করত পোশাক কারখানায়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে।

আবিরের বরাতে পিবিআই জানায়, ছয় মাস আগে ওই যুবক রাস্তায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড পায়। কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নতুন মোবাইল কিনে ওই সিম তোলে। আয়াতের পরিবার অনেক টাকার মালিক ভেবে শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।

১৫ নভেম্বর বিকেলে আবির আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। টুকরাগুলো দুটি ব্যাগে নিয়ে ওই এলাকাসংলগ্ন বেড়িবাঁধে ফেলে দেয়। আয়াত হত্যা মামলায় আবিরের পর তার মা, বাবা ও বোনকেও গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই। 

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!