• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নুডলস পার্টিতে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ 


ভোলা সংবাদদাতা ডিসেম্বর ৭, ২০২২, ০২:২৮ পিএম
নুডলস পার্টিতে আর্জেন্টিনা সমর্থকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ 

ভোলা: বিশ্বকাপ ফুটবলে আর্জেন্টিনার খেলা উপলক্ষে ভোলায় নুডলস পার্টিতে বিরোধের জেরে সংঘর্ষে হৃদয় (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আট জন। মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের চেউয়াখালি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে সাত জন ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। নিহত হৃদয় চেউয়াখালি এলাকার দিনমজুর ইব্রাহিম খলিলের ছেলে। 

স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার রাতে আর্জেন্টিনার খেলার দিন সমর্থকরা নুডলস খাওয়ার আয়োজন করেন। এ নিয়ে দুই সমর্থক আকবর ও আশিকের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের অনুসারী দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আবারও দুই গ্রুপের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারামারি শুরু করেন। এ সময় অস্ত্রের আঘাতে জখম হন হৃদয়। তাকে ভোলার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আশিক জানান, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার খেলা চলাকালীন নুডলস খাওয়াকে কেন্দ্র করে আলী আকবর ও হৃদয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এই ক্ষোভ থেকে মঙ্গলবার রাতে আলী আকবর বেশ কয়েকজন কিশোরকে নিয়ে হৃদয়কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। 

হৃদয়ের খালাতো ভাই শেখ ফরিদ জানান, শনিবার আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার খেলা চলছিল। এ সময় স্থানীয় দুই জনের বাগবিতণ্ডা হয়। তারা সিনিয়র-জুনিয়র ছিল। এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে আর্জেন্টিনা সমর্থক আকবর আলীসহ বেশ কয়েকজন হৃদয়ের ওপর হামলা চালায়। হৃদয় রাস্তার পাশের একটি পুকুরে পড়ে যায়। রাত পৌনে ১টার দিকে স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

হৃদয়ের মা নুর নাহার বলেন, ‘রাতে আমার ছেলে বাড়িতে ভাত খাচ্ছিলো। এ সময় আলী আকবর মুঠোফোনে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত পৌনে ১টার দিকে পুকুর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় আমার ছেলেকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীরা। এরপর ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক নাইমুল হাসনাত জানান, ‌‘দেশীয় অস্ত্রে জখম আট জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনিস উদ্দিন জানান, ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে একজন মারা গেছেন। উভয় পক্ষের আট জন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, ঘটনার পর রাতেই ৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে সাত জন ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। বুধবার সকালে ভোলা পুলিশ সুপারসহ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

সোনালীনিউজ/এম

Wordbridge School
Link copied!